#বার্লিন: কু-সন্তান যদি কখনো হয়, কু – মাতা কভু নয়। বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্য মিথ্যে প্রমাণিত হয়ে গেল। একজন মায়ের কাছে পৃথিবীতে তার সন্তানের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সেই মা খুন করল নিজের সন্তানকে। তাও আবার পাঁচজন। পাঁচ সন্তানকে হত্যার দায়ে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে জার্মানির একটি আদালত। ওই নারী তার ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনকেই হত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার তার সাজা ঘোষণা করা হয়। খবর এএফপির।
আরও পড়ুন – Xavi Barcelona coach : কাতারি ক্লাবের দায়িত্ব ছেড়ে বার্সেলোনার কোচ হয়ে আসার পথে জাভি
২৮ বছর বয়সী ওই নারীর নাম ক্রিসটিয়ান কে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সন্তানদের বাথটাবের জলে চুবিয়ে বা শ্বাসরোধ করে হত্যায় অভিযুক্ত হন তিনি। সোলিংগেন শহরে ওই নারীর তিন মেয়ে এবং দুই ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মেয়ে শিশু তিনটির বয়স যথাক্রমে এক, দুই এবং তিন বলে জানানো হয়। অপরদিকে দুই ছেলের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৬ এবং অন্যজনের ৮ বছর। বিছানার ওপর তাদের মরদেহ তোয়ালে প্যাচানো অবস্থায় ছিল।
Mother kills five of her children in German town German police have found the bodies of five children in an apartment in the western town of Solingen, More on https://t.co/1mr7Jmhwy3 #news pic.twitter.com/J2OH6aVJKc
— Ahlain News (@AhlainNews) October 24, 2020
সে সময় ওই নারী ডুয়েসেলডর্ফ স্টেশনে একটি ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয় এবং তার আঘাত গুরুতর ছিল না। ওই হত্যাকাণ্ড থেকে তার ১১ বছর বয়সী ছেলে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় কারণ সে ওই সময় স্কুলে ছিল। প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ওই নারী সন্তানদের হত্যার আগে তাদের নাস্তায় ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রসিকিউটররা ওই নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার আহ্বান জানান। প্রসিকিউটররা বলেন, প্রতিরক্ষায় অক্ষম ওই শিশুদের সরলতার সুযোগ নিয়েছেন তাদের মা ক্রিসটিয়ান কে।
তবে ক্রিসটিয়ান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, মাস্ক পরা এক ব্যক্তি তার ফ্ল্যাটে ঢুকে তার সন্তানদের হত্যা করেছেন। কিন্তু তার দাবির সত্যতা খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। তদন্তে জানা গিয়েছে ওই মহিলার স্বামী সম্প্রতি একটি নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই কথা জানতে পেরে ওই মহিলা তার স্বামীকে বলেন তিনি আর নিজের সন্তানদের দেখতে পাবেন না। তবে মুখে বলা, আর কাজে করা এক নয়। কিন্তু ওই মহিলা সত্যি সত্যি এত বড় ঘটনা ঘটিয়ে দেবে সেই আন্দাজ কেউ করতে পারেনি।