১৭ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার ৯:৩৮:২০ অপরাহ্ন |
জেলা আওয়ামী লীগকে না জানিয়ে সংসদ সদস্যকে শোকজ দেওয়ায় বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পাল্টা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুসের সই করা বিবৃতিতে শোকজের কথা জানানো হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়ে বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহআলমকে বিভিন্ন কারণ উপস্থাপন করে শোকজ করেন। কোন ক্ষমতাবলে একজন সংসদ সদস্যকে শোকজ করা হয়েছে তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ব্যাখ্যাসহ লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলা হয়।এর আগে ৩ অক্টোবর দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার অভিযোগ তুলে বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমকে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় উপজেলা আওয়ামী।অভিযোগগুলোর মধ্যে, দলীয় কার্যালয় নির্মাণের জন্য গচ্ছিত টাকা আটকে রাখা, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে নিজস্ব বলয় তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, বানারীপাড়া পৌরসভাসহ দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, দলীয় কর্মসূচি এড়িয়ে আলাদা কর্মসূচি করা, অনুসারী ও আত্মীয়স্বজন কর্তৃক উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা, নিজ আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ঠিকাদারি কাজ ভাগ করে দেওয়া এবং নামে চাঁদা উত্তোলনের মতো বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।
এসব অভিযোগ ও শোকজ প্রসঙ্গে শাহে আলম বলেন, কোনো নোটিশ পাইনি। এছাড়া একজন সংসদ সদস্যকে শোকজ করতে পারে পার্লামেন্ট।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাওলাদ হোসেন সানা বলেন, ২৯ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়। সেখানে নেতাকর্মীরা সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন। যে সভায় শাহে আলম উপস্থিত ছিলেন তখনই তাকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ না করে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এজন্য তাদের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা কেন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নোটিশের জবাব পাওয়ার পর জানা যাবে। জবাব যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |