নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি ইসমাঈল সিরাজীর মার্চ ফর হাতপাখা – News Tangail

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি ইসমাঈল সিরাজীর মার্চ ফর হাতপাখা – News Tangail

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা–সদর আংশিক) আসনে হাতপাখা প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জননেতা মুফতি ইসমাঈল সিরাজীর নেতৃত্বে ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার সকাল নয়টা থেকে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল শোডাউন মার্চ ফর হাতপাখা। তিনশ হুন্ডাসহ পঞ্চাশের অধিক গাড়ির দীর্ঘ বহর নিয়ে আয়োজিত এই শোভাযাত্রা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। স্থানীয় জনসাধারণ, দলীয় নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের অংশগ্রহণে পুরো আসনজুড়ে নির্বাচনী উত্তাপ অনুভূত হয়।

মার্চটি কুতুবপুর ইউনিয়নের লামাপাড়া এলাকা থেকে শুরু হয়। শুরুর মুহূর্ত থেকেই পথঘাটে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখা যায়। জনতার উপস্থিতিতে এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। শোডাউনটি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওতাধীন সাতটি ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করে বক্তাবলীতে গিয়ে শেষ হয়। পথিমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে স্থানীয় নেতা-কর্মী, তরুণ ভোটার, মসজিদের ইমাম, ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ দলীয় প্রতীক হাতে এবং স্লোগানে শোভাযাত্রাকে অভ্যর্থনা জানান। কেউ কেউ বাড়ির সামনে এসে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। কেউ ভিডিও ধারণ করেন, আবার কেউ শোডাউনে যুক্ত হয়ে পড়েন। নির্বাচনী এলাকা জুড়ে এই দিনের ঘটনাপ্রবাহকে অনেকে একটি বড় জনসমর্থনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।

শোভাযাত্রার পুরো সময়জুড়ে দলীয় প্রতীক হাতপাখা, পার্টির পতাকা এবং প্রার্থীর নামে নানা ধরনের ব্যানার শোভা পায়। বিশাল গাড়িবহর এলাকা অতিক্রম করার সময় মানুষজন রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন। অনেকেই জানান, এই ধরনের শান্তিপূর্ণ অথচ বৃহৎ জনসমাগম দীর্ঘসময় এ এলাকায় দেখা যায়নি। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ শোডাউন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে হাতপাখা প্রতীকের অবস্থান দৃঢ় করার ইঙ্গিত বহন করছে।

মার্চ ফর হাতপাখা শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুফতি ইসমাঈল সিরাজী। তিনি পরিবর্তনের আদর্শকে সামনে রেখে বলেন যে দেশের রাজনৈতিক ধারায় সবচেয়ে বড় সংকট হলো নীতির ধারাবাহিকতা। স্বাধীনতার পর নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে বহুবার, কিন্তু নীতি ও মূল্যবোধের জায়গায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসেনি। তিনি বলেন, জনগণ বারবার উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছে, কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়নি। জনগণ এখন আর ফাঁকা প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী নয়, তারা দৃশ্যমান পরিবর্তন চায়। তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যেই আজকের এই পরিবর্তন যাত্রা।

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কল্যাণমুখী, ন্যায়নিষ্ঠ ও ইনসাফভিত্তিক রাজনীতির ধারক। তিনি বলেন, যদি জনগণের ম্যান্ডেট আমাকে সুযোগ দেয়, তাহলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের দীর্ঘদিনের অবহেলা, বৈষম্য, অবকাঠামো সংকট এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার পরিবর্তনে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেব। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে একটি দুঃশাসনমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক, নিরাপদ ও জনবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করবেন। তিনি বলেন, ন্যায়, ইনসাফ ও জনকল্যাণই তার রাজনীতির তিনটি প্রধান স্তম্ভ এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করাই তার মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন যে আজকের শোডাউন প্রমাণ করেছে জনগণ পরিবর্তন চায়। তিনি যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দাবি করেন, ভোটারদের প্রত্যাশা, এলাকার উন্নয়ন সম্ভাবনা ও মানুষের বাস্তব সমস্যার সমাধান করতে হলে দায়িত্বশীল নেতৃত্ব প্রয়োজন। তিনি দল-মত-নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য সমান সেবা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মার্চ ফর হাতপাখা অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি স্থানীয় ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষও শোভাযাত্রায় যোগ দেন বা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানান। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানান, আজকের এ শোডাউন হাতপাখা প্রতীকের প্রতি মানুষের আস্থা ও সমর্থনকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।

স্থানীয় মানুষ শোডাউন দেখার পর মন্তব্য করেছেন যে প্রার্থী যদি তার প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবে রূপ দিতে পারেন, তাহলে এলাকায় পরিবর্তনের নতুন সূচনা হতে পারে। অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিবেশগত সমস্যার সমাধান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং দুর্নীতি রোধসহ নানা ইস্যুতে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর উদ্যোগের অপেক্ষায় আছে। আজকের এই বৃহৎ শোডাউন সেই প্রত্যাশাকে আরও উজ্জীবিত করেছে।

তিনশ হুন্ডা ও পঞ্চাশের অধিক গাড়ির শোডাউন; ন্যায়, ইনসাফ ও জনকল্যাণকেই মূল অঙ্গীকার ঘোষণা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা–সদর আংশিক) আসনে হাতপাখা প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জননেতা মুফতি ইসমাঈল সিরাজীর নেতৃত্বে ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার সকাল নয়টা থেকে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল শোডাউন মার্চ ফর হাতপাখা। তিনশ হুন্ডাসহ পঞ্চাশের অধিক গাড়ির দীর্ঘ বহর নিয়ে আয়োজিত এই শোভাযাত্রা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। স্থানীয় জনসাধারণ, দলীয় নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের অংশগ্রহণে পুরো আসনজুড়ে নির্বাচনী উত্তাপ অনুভূত হয়।

মার্চটি কুতুবপুর ইউনিয়নের লামাপাড়া এলাকা থেকে শুরু হয়। শুরুর মুহূর্ত থেকেই পথঘাটে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখা যায়। জনতার উপস্থিতিতে এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। শোডাউনটি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওতাধীন সাতটি ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করে বক্তাবলীতে গিয়ে শেষ হয়। পথিমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে স্থানীয় নেতা-কর্মী, তরুণ ভোটার, মসজিদের ইমাম, ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ দলীয় প্রতীক হাতে এবং স্লোগানে শোভাযাত্রাকে অভ্যর্থনা জানান। কেউ কেউ বাড়ির সামনে এসে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। কেউ ভিডিও ধারণ করেন, আবার কেউ শোডাউনে যুক্ত হয়ে পড়েন। নির্বাচনী এলাকা জুড়ে এই দিনের ঘটনাপ্রবাহকে অনেকে একটি বড় জনসমর্থনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।

শোভাযাত্রার পুরো সময়জুড়ে দলীয় প্রতীক হাতপাখা, পার্টির পতাকা এবং প্রার্থীর নামে নানা ধরনের ব্যানার শোভা পায়। বিশাল গাড়িবহর এলাকা অতিক্রম করার সময় মানুষজন রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন। অনেকেই জানান, এই ধরনের শান্তিপূর্ণ অথচ বৃহৎ জনসমাগম দীর্ঘসময় এ এলাকায় দেখা যায়নি। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ শোডাউন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে হাতপাখা প্রতীকের অবস্থান দৃঢ় করার ইঙ্গিত বহন করছে।

মার্চ ফর হাতপাখা শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুফতি ইসমাঈল সিরাজী। তিনি পরিবর্তনের আদর্শকে সামনে রেখে বলেন যে দেশের রাজনৈতিক ধারায় সবচেয়ে বড় সংকট হলো নীতির ধারাবাহিকতা। স্বাধীনতার পর নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে বহুবার, কিন্তু নীতি ও মূল্যবোধের জায়গায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসেনি। তিনি বলেন, জনগণ বারবার উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছে, কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়নি। জনগণ এখন আর ফাঁকা প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী নয়, তারা দৃশ্যমান পরিবর্তন চায়। তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যেই আজকের এই পরিবর্তন যাত্রা।

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কল্যাণমুখী, ন্যায়নিষ্ঠ ও ইনসাফভিত্তিক রাজনীতির ধারক। তিনি বলেন, যদি জনগণের ম্যান্ডেট আমাকে সুযোগ দেয়, তাহলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের দীর্ঘদিনের অবহেলা, বৈষম্য, অবকাঠামো সংকট এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার পরিবর্তনে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেব। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে একটি দুঃশাসনমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক, নিরাপদ ও জনবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করবেন। তিনি বলেন, ন্যায়, ইনসাফ ও জনকল্যাণই তার রাজনীতির তিনটি প্রধান স্তম্ভ এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করাই তার মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন যে আজকের শোডাউন প্রমাণ করেছে জনগণ পরিবর্তন চায়। তিনি যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দাবি করেন, ভোটারদের প্রত্যাশা, এলাকার উন্নয়ন সম্ভাবনা ও মানুষের বাস্তব সমস্যার সমাধান করতে হলে দায়িত্বশীল নেতৃত্ব প্রয়োজন। তিনি দল-মত-নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য সমান সেবা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মার্চ ফর হাতপাখা অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি স্থানীয় ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষও শোভাযাত্রায় যোগ দেন বা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানান। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানান, আজকের এ শোডাউন হাতপাখা প্রতীকের প্রতি মানুষের আস্থা ও সমর্থনকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।

স্থানীয় মানুষ শোডাউন দেখার পর মন্তব্য করেছেন যে প্রার্থী যদি তার প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবে রূপ দিতে পারেন, তাহলে এলাকায় পরিবর্তনের নতুন সূচনা হতে পারে। অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিবেশগত সমস্যার সমাধান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং দুর্নীতি রোধসহ নানা ইস্যুতে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর উদ্যোগের অপেক্ষায় আছে। আজকের এই বৃহৎ শোডাউন সেই প্রত্যাশাকে আরও উজ্জীবিত করেছে।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

Explore More Districts