- নারায়ণগঞ্জ, শহরের বাইরে, সিদ্ধিরগঞ্জ
- র্যাব-১১’র জালে কিশোর গ্যাং লিডার : অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পটুয়াখালীতে উদ্ধার
- আপডেট টাইম : জুন, ৪, ২০২৫, ২:০৮ পূর্বাহ্ণ
- 185 পড়েছেন
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নারায়নগঞ্জ থেকে অপহৃত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সেখানকার মিম শরৎ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সোহাগ মিয়া (৪২)কে হাত পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পটুয়াখালীর পায়রাকৃঞ্জ ফেরীঘাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে তার ব্যবহৃত গাড়িতে হাত, পা ও মুখ বাধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে ডিবি পুলিশের একটি টিম তাকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষনিক তাকে আহত অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ দু‘টি গাড়ী উদ্ধার করেছে। তবে চালকরা পালিয়ে গেছে। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইমলাম সজল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
উদ্ধার হওয়া এই ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জের নিউ চাষারার ৮৯ নং জামতলা এলাকার বাসিন্দা।তার বাবার নাম মৃত্যু আব্দুস সালাম ও মাতার নাম মোসাঃ রহিমা বেগম।
পটুয়াখালী ডিবি পুলিশ জানায়, রবিবার রাত ৯ টার দিকে ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া তার নিতাইগঞ্জের অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে তার গাড়টি তুলারাম কলেজ গেটের সামনে পৌঁছলে ৫/৬ জনের একদল সন্ত্রাসী তার গাড়ির গতি রোধ করে গাড়ীতে উঠে তার হাত পা ও চোখ বেধে ফেলে। এসময় তাকে মারধর করে গাড়ি চালিয়ে পটুয়াখালী আসে।
মিম শরৎ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ মিয়াকে অপহরণের বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশকে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলে পুলিশ গতকাল রাতেই তাকে উদ্ধারে তৎপর হলে অপহরণ কারীরা বেকায়দায় পড়ে। গাড়ির চালক ও অপহৃত ব্যবসায়ীরা ফোন ট্রাকিং করে তাদের লোকেশন চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। পরে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় অপহরণ কারীরা ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়াকে আজ সোমবার সকাল ৬ টার দিকে পটুয়াখালীর পায়রাকুঞ্জ ফেরীঘাটে নির্মাণাধীন সেতুর বালির মাঠে গাড়িসহ ফেলে রেখে অপহরনকারীরা পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন দুপুর ১২ টার দিকে ২ টি গাড়ী অনেক সময় ধরে সেখানে থাকতে দেখে গাড়ীর কাছে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান গাড়ির মধ্যে হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় দেখতে পান। ইশারায় ওই লোকটি স্থানীয়দের সহযোগিতা চাইলে তারা পুলিশকে খবর দিলে ডিবি, সদর থানা ও নৌ পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার মোবাইলে জানান, মিম শরৎ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপহরণ হয়েছে এমন অভিযোগ পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম তাকে উদ্ধার করতে তৎপর হয়ে ওঠে। আমরা তাৎক্ষণিক সোহাগের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তার সর্বশেষ লোকেশন নির্ধারণ করে পটুয়াখালী পুলিশের সহযোগিতা চাই। পটুয়াখালী পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন থানায় অভিযোগ বা মামলা বা জিডি দায়ের করা হয়নি। সোহাগের গাড়ির চালকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে অপহরণের সাথে তার গাড়িরর চালকের যোগসাজস থাকতে পারে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তে অপহরণের সাথে যার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যাবে তাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।