সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান আলেক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হাসান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ জাপল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান পলাশ, নগর বিএনপির সভাপতি তেলায়েত হোসেন বাবু, জেলা যুবদলের সভাপতি মশিয়ার রহমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সায়দাত কবীর রুবেল এবং জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সনি প্রমুখ।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী মণ্ডল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খন্দকার মুঞ্জরুল সাঈদ বাবু, মহিলা দলের নেত্রী মধুমিতা ও মাজেদা খানম টুকটুকি। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফশিয়ার রহমান।
কঠোর হুঁশিয়ারি দেন মনিরুল ইসলাম
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম বলেন,
👉 “ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখের পরে নির্বাচন নিয়ে যদি সরকার তালবাহানা করে, তবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়া হবে। দেশের প্রতিটি জনপদে আন্দোলনের আগুন জ্বলবে।”
তিনি আরও বলেন,
👉 “বাংলাদেশের ভূখণ্ড, পতাকা ও সংবিধান ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ জামায়াত তখনও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছিল এবং বারবার ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আজও তারা ভিন্ন নামে আবির্ভূত হয়ে একই ষড়যন্ত্র করছে। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই— ১২ ফেব্রুয়ারির পর নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা হলে দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন,
👉 “১৯৮৬ সালে ক্ষমতার লোভে জামায়াত শেখ হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করেছিল। ১৯৯৬ সালে অসহযোগ আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করে মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল। আর আজ যদি আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হয়, তবে বাংলার মাটিতে তাদের একটি আসনও থাকবে না।”
উৎসবমুখর র্যালি
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল ও বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এর আগে জেলা, উপজেলা ও নগর বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।
উপস্থিতি ও উদ্দীপনায় নড়াইল শহর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসবে রূপ নেয়।