| ৩ November ২০২৫ Monday ১:৪৩:৪৫ PM | |
নাজিরপুর ((পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিগত সরকারের সময় অর্থ লোপাটের উদ্দেশ্যে উন্নত পরিবেশে মাছ-মাংস বিক্রির জন্য পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠির জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় নদীর পাড়ে নির্মাণ করা হয়েছে ৪টি শেড। নির্মাণের কাজ ২ বছর আগে শেষ হলেও এখনও সেখানে পদচিহ্ন পড়েনি কোনো ব্যবসায়ীর। ফলে শেডের ভেতরে থাকা বিভিন্ন মালামাল ভেঙে ফেলার পাশাপাশি চুরির ঘটনাও ঘটছে।
জানা গেছে, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠির জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিগত সরকারের সময় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার সময় উন্নত পরিবেশে মাছ মাংস বিক্রির জন্য নির্মাণ করেন ৪টি শেড। তখন তার লোকজনকেই শেডগুলো নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ফলে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করলেও কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। ২০১৯ সালে ৬১টি জেলার ৪৬৫টি উপজেলা ও সব সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় প্রাণিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, মার্কেট লিংকেজ, নিরাপদ প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদন এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাগণের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এ শেডগুলো নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ মূল বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকায় শেডগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে যাতায়াতের জন্য নেই পর্যাপ্ত সুব্যবস্থা। শেডগুলোর নির্মাণ কাজ দুই বছর আগে শেষ হলেও এখন পর্যন্ত সেখানে যায়নি কোনো ব্যবসায়ী। নির্জন এলাকা হওয়ায় এরইমধ্যে শেডের ভেতরে থাকা মালামাল ভেঙে ফেলার পাশাপাশি অনেক চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শ্রীরামকাঠী বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম হাওলাদার বলেন, ‘মূল বাজার থেকে জনবিছিন্ন নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে উন্নয়ন এসব শেড করা হয়েছে। প্রকল্পের নামে নিজস্ব লোক দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিম্নমানের কাজ করে টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল বিগত মন্ত্রীর উদ্দেশ্য। ফলে দেশের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করে উন্নয়ন করলেও সুফল পাচ্ছে না ব্যবসায়সহ স্থানীয় মানুষজন। বিগত সময়ে এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করতে পারেনি কেউ ভয়ে। যারা অনিয়ম করে লুটপাট করে দেশের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
এ বিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া শাহনাজ তমা বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ কবে এটি নির্মাণ করেছে এবং কার কাছে এটি হস্তান্তর করেছে সঠিক কোনো তথ্য নেই উপজেলা প্রশাসনের কাছে। তবে উন্নত পরিবেশে মাছ মাংস বিক্রির জন্য নির্মাণ করা ৪টি শেড স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে ৬১টি জেলার ৪৬৫টি উপজেলায় ৪ হাজার ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) মাধ্যমে যে শেড নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল তা পরবর্তীতে নির্মাণে ব্যয় দাঁড়ায় ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
| শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |

