নরসিংদীর নজরপুরে জোরপূর্বক মাটি ভরাটের চেষ্টা – Amader Narsingdi

নরসিংদীর নজরপুরে জোরপূর্বক মাটি ভরাটের চেষ্টা – Amader Narsingdi

মোঃরাসেল মিয়া:-নরসিংদীর সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের দড়ি নবীপুর গ্রামের মাইন উদ্দিনের পুকুরে অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক মাটি ভরাটের চেষ্টা করছে কতিপয় বালু খেকো ব্যবসায়ীরা। ২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নজরপুর ইউনিয়নের দড়ি নবীপুর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে মাইন উদ্দিন এর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী মাইন উদ্দিন তার বসত ঘর তৈরী করতে বাড়ীর পাশের খালি জায়গা থেকে মাটি কাটেন। মাটি কাঁটার ফলে সেই ১৫ শতাংশ জায়গা পুকুরে রুপান্তরিত করে। একই গ্রামের জৈনক মৃত আদম আলীর ছেলে মোঃ ফজলু মিয়া, টুক্কা মিয়ার ছেলে মোঃ মোমেন মিয়া, মৃত হাসেম মাস্টারের ছেলে আতাউর রহমান সহ আরও ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল মাইন উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করে পুকুরের প্রকৃত মালিক মাইন উদ্দিনকে না বলে মাটি ভরাটের পাইপ বসিয়ে পুকুরে মাটি ভরাট করার চেষ্টা করে। এবিষয়ে কথিত বালু খেকোদের কাছে থেকে পুকুরে পাইপ বসানোর কারণ জানতে চাইলে তারা মাইন উদ্দিনকে বলে আমরা এপুকুর বালু দিয়ে ভরাট করবো। আমরা এখানে বালু ফেলাবো। পুকুরের মালিক মাইন উদ্দিন বাঁধা দিলে তাকে অকর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাননাশের হুমকি দেয় বলে ভুক্তভোগী জানান। এব্যাপারে ভুক্তভোগী মাইন উদ্দিন বলেন, আমি এজায়গাটা বিগত ১৫ বছর আগে খরিদ করি। আমার নিকট সাব-কাউলা দলিল এবং দখলে আছে। গত ১ সেপ্টেম্বর বুধবার এই এলাকারই কিছু ছেলে আমাকে না জানিয়ে আমার খরিদকৃত জমিতে মাটি ভরাটের জন্য পাইপ বসাতে থাকে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে আমি আমার গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদল সরকার কে বিষয়টা জানালে তারা আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। পরে আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলে নরসিংদী সদর থানায় ১ সেপ্টেম্বর বুধবার অভিযোগ দাখিল করি। আমরা এলাকার নিরীহ ও গরীব মানুষ। তারা এলাকার দুর্ধর্ষ। তারা যেন কোন সময় আমাদের উপর আক্রমণ করতে পারে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার নবী সরকার বলেন,মাইন উদ্দিনের বিষয়টা আমি অবগত আছি। সে আমাকে সবকিছু জানিয়েছে। আমি মোমেন,আাতাউরকে নিষেধ করেছি। ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও বিষয়টা জানেন। তারা অন্যায়ভাবে মাইন উদ্দিনের পুকুরে মাটি ভরাট করছে সেটা অন্যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,তারা অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে নিরীহ মানুষের খালি জায়গা,পুকুর, ধানি জমি বালু দিয়ে ভরাট করে। তারা কাউকে কিছু না বলেই এগুলো করে। এর প্রতিবাদ করলে তারা দলবেঁধে নিরীহ মানুষকে মারতে আসে এবং অত্যাচার করে। শুধু তা-ই নয় ১০,০০০/= টাকার বালু তারা জোরপূর্বক ৫০,০০০/= টকা আদায় করে নিচ্ছে। রীতিমতো এক অভিনব চাঁদাবাজি। উল্লেখ্য, গত দুই মাস পূর্বে উক্ত ইউনিয়নে মাটি ভরাট অর্থাৎ বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দড়ি নবীপুরের ইকবাল (২৫) নামে এক যুবক সেলিম, রাসেল গংদের হাতে নিহত হয়। এ অবস্থায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

Explore More Districts