মো:খায়রুল ইসলামঃ-নরসিংদীতে জেলাজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক টিকাদান কার্যক্রম আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে জেলার কোভিড ডেডিকেটেড ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে মাঝপথেই টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।এ সময় টিকা না পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন অন্তত শতাধিক ব্যক্তি। একই পরিস্থিতি দেখা গেছে নরসিংদী সদর হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রেও।
জেলায় টিকার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম। তিনি জানান,জেলায় টিকার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন দ্রæত এই সমস্যার সমাধান করবেন। তবে আগামী রোববারের আগে আবার স্বাভাবিক টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার প্রধান দুটি হাসপাতাল কোভিড ডেডিকেটেড ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও নরসিংদী সদর হাসপাতালের টিকার মজুদ আর অবশিষ্ট নেই। তবে জেলার ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অল্প কিছু টিকার মজুদ আছে। এসব হাসপাতালেও মজুদ টিকার সংখ্যা ২০০-৩০০ এর বেশি নয়। এতে করে জেলাজুড়ে আপাতত টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে কোভিড ডেডিকেটেড ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়,মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারী-পুরুষ মিলিয়ে অন্তত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি টিকা নিতে আসেন হাসপাতালটিতে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন শতাধিক ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। এরপরই টিকা নিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের জানিয়ে দেওয়া হয়,আর টিকা নেই।
টিকা নিতে আসা সানজিদা ইসলাম (৩০) জানান, অনলাইনে নিবন্ধন করে এই হাসপাতালে টিকা নিতে এসেছি সেই সকালে।দুপুরের দিকে আমাদের জানানো হয় টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ আর টিকা দেওয়া হবে না। সপ্তাহখানেক পরে এসে যোগাযোগ করার কথা বলে তারা গেইট বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু আমি না, অন্তত ১৫০ লোক টিকা নিতে এসে না নিয়েই ফিরে গেছেন।
হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এএনএম মিজানুর রহমান আমাদের নরসিংদী ডটকমকে জানান,সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে আজ সিনোফার্মের মাত্র ৩০০ টিকা পেয়েছি আমরা। তার মধ্যে ২০৫ জনকে প্রথম ডোজ ও ৯৫ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ১০ জনকে অ্যাস্ট্রেজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এরপরই আমাদের কাছে আর টিকা না থাকায় শতাধিক ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া যায়নি।আমাদের জানানো হয়েছে আপাতত টিকার মজুদ ফুরিয়ে গেছে। আবার হাতে পেলে টিকাদান শুরু হবে।
