খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যপুস্তক থেকে ট্রান্সজেন্ডারসহ সব ধরনের অনৈতিক, অনৈসলামিক ও নাস্তিকতা এবং মাদ্রাসার বইয়ের সকল অশালীন চিত্র বাদ দেয়াসহ শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
গতকাল মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ইমাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতি জিহাদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ একটি ঘৃণ্য ও মানবতা বিরোধি মতবাদ। খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের পক্ষ থেকে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ শুধু মানবতা বিরোধী মতবাদ না, বরং এটা কুরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে ধৃষ্টতা।
ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের কথা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করার চক্রান্ত করা হলেও ইসলাম আমাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় আল্লাহ মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন হয় পুরুষ অথবা নারী হিসেবে।
ট্রান্সজেন্ডারবাদ ছাড়াও পাঠ্যবইয়ে থাকা ইসলাম বিরোধী বিষয়গুলোর উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৯ম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বই থেকে ইসলামের অকাট্য ফরয বিধান “জিহাদ” পরিপূর্ণ বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে, ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞান বই থেকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনের নাম মুছে দিয়ে সেই জায়গায় অবৈধ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে।
৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বইয়ে ছেলে-মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে যাতে স্বভাবজাত লজ্জা-শরম কারো মাঝে না থাকে।
এভাবে ৬ষ্ঠ থেকে নবম-দশম শ্রেণির বিভিন্ন বইয়ে বিভিন্নভাবে তথ্য বিকৃতির পাশাপাশি ইসলাম নিয়ে বিকৃত সব আলোচনা স্থান পেয়েছে। যেগুলো বাদ না দেওয়া হলে এদেশের তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
একইভাবে মাদরাসার বই ও অন্যান্য বইয়ের প্রচ্ছদে বাধ্য-বাজনার ছবি, ভেতরে হিজাব বিহীন ছবি, কোথাও মহিলাদের অশ্লীল ছবি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করা হচ্ছে।
খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তক থেকে ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষাসহ সকলধরনের অনৈতিক, অনৈসলামিক ও নাস্তিকতা শিক্ষা বাদ দিতে এবং শিক্ষা ক্যারিকুলামে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা হাফেজ মোস্তাক আহমাদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ গোলাম কিবরিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এ এফ নাজমুল সউদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুজাম্মিল হক, অর্থ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।