নড়াইল হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক জেলা: হিন্দু সম্প্রদায়কে আর সংখ্যা লঘু বলা যাবে না — বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম

নড়াইল হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক জেলা: হিন্দু সম্প্রদায়কে আর সংখ্যা লঘু বলা যাবে না — বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম

নড়াইল হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক জেলা: হিন্দু সম্প্রদায়কে আর সংখ্যা লঘু বলা যাবে না — বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম

নড়াইলকণ্ঠ :শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নড়াইল শহরের পালকি কমিউনিটি সেন্টারে ‘হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলন’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন তিনি।

বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “নড়াইলের জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ হিন্দু সম্প্রদায়। আমাদের সকল নেতা-কর্মীর আচরণ এমন হতে হবে যেন কোনো হিন্দু ভাই-বোন কখনো কষ্ট না পায়। আমি নিজেও সর্বদা তাদের পাশে আছি, থাকব।”

তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন — “বিএনপি পরিবারে কেউ ধর্মীয় ভেদাভেদে বিভক্ত নয়। জাতীয় ঐক্যের শক্তিই আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ভিত্তি।”

সম্মেলনে তিনি নিজ মোবাইল নম্বর উপস্থিত প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও আন্তঃসম্প্রীতি রক্ষায় সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি সাংবাদিক অশোক কুমার কুন্ডু, এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব কার্তিক কুমার দাস।

বিশেষ অতিথি ছিলেন —জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও কালিয়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আসজাদুর রহমান মিঠু বিশ্বাস,সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান আলেক,সদস্য সচিব মুজাহিদুর রহমান পলাশ,জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট তারিকুজ্জামান লিটু।

এছাড়া সদর উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক বিমান রঞ্জন রায়, সদস্য সচিব সুজন রায়সহ পাঁচ ইউনিয়নের পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।

বিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিকোণ:
নড়াইল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের এই বার্তা আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর এই ঘোষণা শুধু হিন্দু ভোটারদের আস্থা অর্জনের কৌশল নয়, বরং এটি বিএনপির নীতিগত অবস্থানকেও নতুনভাবে প্রকাশ করছে— ধর্ম নয়, উন্নয়ন ও নাগরিক অধিকারই রাজনীতির মূল শক্তি।

Explore More Districts