আপডেটঃ 6:38 pm | February 02, 2022
স্টাফ রির্পোটার ॥ ত্রিশাল উপজেলার ধলা বাজরের দক্ষিন পার্শে আওয়ামীলীগের কর্মী প্রয়াত শেখ সিরাজ আলীর পুত্র শেখ সোহাগের প্রায় ৫৭ শতাংশ বসতবাড়ী ও দোকান ঘরের জমি প্রায় ৩০ বছর যাবৎ জোর দখল করে রেখেছে ধলা বাজারের বিএনপির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন হাবি খা ও জামাতের সভাপতি সভাপতি হারেছ খা সহ সংঘবদ্ধ বাহিনীর সদস্যরা। বিএনপি আমলে বিএনপির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন হাবি খা ও জামাত সভাপতি হারেছ খা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আওয়ামীলীগের কর্মী শেখ সিরাজ আলীর কাছ থেকে প্রথমে দোকান ভাড়া নেয়। প্রথম দিকে কিছুদিন ভাড়া পরিশোধ করলেও পরবর্তীতে আর ভাড়া পরিশোধ করেনি। শেখ সিরাজ দোকান ছেড়ে দিতে বললে দোকানও ছাড়েনি। আওয়ামীলীগ কর্মী শেখ সিরাজের অনেক আগে থেকেই আশা ছিল তার বাড়ী ও দোকানের পাশে একটি কক্ষ তিনি শেখ রাসেল ক্লাব হিসাবে গড়ে তুলবেন। জোর দখলকারীদের কারনে মৃত্যুর পুর্বে তার সেই আশা আর পুরন হয়নি। মৃত্যুর পুর্বে শেখ সিরাজ তার সন্তান শেখ সোহাগকে বলে যান এই জমি উদ্বার করে বাড়ী ও ব্যবসার পাশাপাশি শেখ রাসেল ক্লাব গড়ে তুলতে। জুলুমকারীদের অত্যাচারের কারনে পিতার দেয়া আদেশ আজো বাস্তবািয়ন করতে পারছে না শেখ সোহাগ। শত চেষ্টা করেও পত্রিক জমি উদ্বার করতে পারছে না। শেখ সোহাগ জানায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন অসহায় পরিবারের শেষ সম্বল বাড়ী ও ব্যবসার জমিটুকু বিএনপি জামাতের হাত থেকে উদ্বার করে দেওয়ার জন্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু প্রেমিক রিক্সা চালক সোহাগ জানায়, জমি উদ্বার হলে শেখ রাসেল ক্লাব নির্মান করা হবে। তিনি জানায়, বিএনপি জামাতের আমলে জোরদখলকারীরা আমাকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। পৌত্রিক বাড়ীভিটা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে আজ আমি ময়মনসিংহ শহরে রিক্সা চালাক। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ভাইকে জানালে তিনি বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম মোহাম্মদ বাদল ভাইকে ফোন করেন। পরবর্তীতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের পক্রিয়া শুরু হলেও বর্তমানে আবার জায়গা বেদখল করে রেখেছে। ইউনিয়ন ভুমি অফিস কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি বলেন, কাগজপত্র ঠিক থাকলেও দখল না থাকলে খারিজ করতে পারবোনা। ভুমি মালিকানার দাবীদার অসহায় রিক্সা চালক শেখ সোহাগ বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের ব্যবস্থা করা হউক। তিনি বলেন, আমার প্রয়াত পিতার কবর জিয়ারত করতে যেতে পারিনা। আমি এলাকায় গেলে অবৈদ দখলদাররা সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দেয়। ৮৭ বছর বয়সের আমার বৃদ্ধা মাতা শেখ মোমেনা খাতুনের চিকিৎসা করাতে পারিনা। সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে নিজ বাড়ীতে যেতে পারিনা। দোকান উচ্ছেদের দিন এলাকায় রব উঠে ছিল বিএনপি জামাতের কবল থেকে আওয়ামীলীগের পরিবারের জমি উদ্বার হচ্ছে। আমি আমার পত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে চাই।