ধর্মীয় শিক্ষার অন্যতম বাতিঘর ‘ হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা’

ধর্মীয় শিক্ষার অন্যতম বাতিঘর ‘ হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা’

হাজীগঞ্জ-চাঁদপুরের ধর্মীয় শিক্ষার অন্যতম বাতিঘর ‘ হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা’। আলহাজ্ব আহমদ আলী পাটোয়ারী রহ.১৯৩১ সালে হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষণজন্মা,দানবীর ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানব হিতৈষী আলহাজ্ব আহমদ আলী পাটোয়ারী রহ.আনুমানিক বারশ বঙ্গাব্দের শেষের দিকে হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ জন্মগ্রহণ করে।

তেরশ’ অব্দে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের ভিত্তি সূচনা করেন তিনি। কলকাতা আলিয়া মাদরাসার তৎকালীন হেড মাও.শামসুল উলামা ছফি উল্লা’র নিকট হতে মসজিদ নির্মাণে দোয়া লাভ করেন।

মাও.আবুল ফারাহ জৈনপুরী রহ.১৭ আশ্বিন ১৩৩৭ বঙ্গাব্দে পাকা মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। সম্ভবত: এ মসজিদের জন্য যোগ্য ইমাম, মুয়াজ্জিন,খাদেম ও মুসল্লীর সংখ্যা বাড়াতে তিনি ‘ হাজীগঞ্জ দারুল উলুম সিনিয়র মাদরাসা’ নামে ১৯৩১ সালে মাদরাসাটি মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে নির্মাণ করেন। যা পরবর্তীতে ১৯৪১ সালে ফাজিল, ১৯৯৫ সনে প্রতিষ্ঠাতার দৈহিত্র অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারীর প্রচেষ্টায় কামিল পর্যায়ে উন্নীত হয় এবং বর্তমান স্থানে পুন:স্থাপি হয়।

প্রতিষ্ঠাতা মোতওয়াল্লীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমানে পরিচালনা বোর্ডও নিরলস ভাবে কাজ করছেন। সম্পূর্ণ দ্বীনি পরিবেশে বালক-বালিকাদের পৃথক শাখায় পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলিম শ্রেণি পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগ চালু আছে। প্রতিষ্ঠানের গর্ভণিং বডি,শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল আজকের এ বাতিঘর নামে খ্যাত হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা’। মানসম্মত ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে আজকের এ প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধেই জেলার শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রথম সারিতে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা-কর্মচারী রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই এর মূল লক্ষ্য। ইহা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ঠদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা। মানবতার এ মহান সেবক ১৯৬৮ সালের আজকের ৩০ এপ্রিল সকাল ৮.৪৫ ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে জান্নাতবাসী করুক।

আবদুল গনি
২৮ এপ্রিল ২০২৫
এজি

Explore More Districts