ধর্মপাশায় ভোট কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা

ধর্মপাশায় ভোট কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা

ধর্মপাশা প্রতিনিধি
ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও বিল্লাল হোসাইন নামের এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫টি ভোট কেন্দ্র দখল করে অবৈধভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নূর নবী তালুকদার ওইসব ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নূর নবী তালুকদার তাঁর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, কালাগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাউদপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহিষখলা দাখিল মাদ্রাসা, কার্তিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এসব কেন্দ্রের খুব নিকটেই রয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিল্লাল হোসাইনের (বর্তমান চেয়ারম্যান) নিজ বাড়ি। আনোয়ার হোসেন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে কেন্দ্রগুলো দখল করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। এতে করে ভোটারদের মধ্যে এক ধরণের ভীতি তৈরি হয়েছে। ফলে ভোটারদের মধ্যে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। আর ভোটাররা যদি ভোট কেন্দ্রে না যেতে পারেন তাহলে তিনি (আনোয়ার) কেন্দ্র দখল করে ইচ্ছামতো তার পক্ষে অবৈধ ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিল্লাল হোসাইনও প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্র দখল করে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করতে ভোটারদের মাঝে টাকা সরবরাহ করে তার পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন।
বিল্লাল হোসাইন বলেন, ‘আমি তার (নূর নবী) এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। অথচ আমার এলাকায় তিনি (নূর নবী) নির্বিঘেœ নির্বাচনী অফিস পর্যন্ত পরিচালনা করছেন। নূর নবীর বিরুদ্ধে বিগত নির্বাচনে নিজের ভোট কেন্দ্র দখলসহ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। এবারও তিনি এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন। সেই অভিযোগ থেকে নিজে বাঁচতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। নূর নবী তার নিজ গ্রাম রূপনগরের মানুষজনকে তার পক্ষে কাজ করার জন্য অনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাকে ভোট না দিলে নাকি এলাকা ছাড়া করা হবে।’
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে কোনো নির্বাচনি কাজ করেছি। আমি একজন শান্তিকামী মানুষ। আমি নিজেও চাই না কেউ ভোট কেন্দ্র দখল কিংবা বিশৃঙ্খলা করুক। নূূর নবী কেন এমন অভিযোগ করেছে সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সালমুল হাসান বিপ্লব বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা মিটিং রয়েছে। বিষয়টি সেখানে উপস্থাপন করা হবে। যদি কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয় সে ক্ষেত্রে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই।’

Explore More Districts