১৯ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার ৫:১৮:২৭ অপরাহ্ন |
দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ পাইজাল দিয়ে মাছ ধ্বংস বন্ধ করার অভিযানে নেমে প্রভাবশালী চক্রের তোপের মুখে পড়েন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন সহ মৎস্য বিভাগের অন্যান্য স্টাফরা।
সোমবার (১৮মার্চ) দুপুরে চকেট জামাল বাহিনী স্পিডবোটে অস্ত্র উঁচিয়ে মেঘনা নদীতে মৎস্য কর্মকর্তাকে ধাওয়া দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন জানান, ভোলা সদর উপজেলার একটি প্রভাবশালী মহল অভয়াশ্রম এলাকায় দৌলতখান উপজেলায় পাইজাল ফেলে নদীতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে। এমন সংবাদে অভিযানে নামলে ইয়াসিন মাঝি,শহীদ মাঝি, বশির মাঝি, চকেট জামাল, কামাল ও মিজানের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত অভিযানের ওপর হামলা চালায়। শতাধিক ডাকাত ভোলার তুলাতলি মাছঘাট থেকে ইলিশা পর্যন্ত আটটি পাইজাল, পাঁচটি স্পিডবোট নিয়ে অস্ত্রসহ মহড়া দিতে থাকে ।
এসময় ১১ জেলেকে আটক করে দ্রুত মেঘনা নদী ত্যাগ করে দৌলতখানে চলে আসে মৎস্য কর্মকর্তা। এরআগে সকালে ৭ জেলেকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই ১৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল- জরিমানা করে উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) মুন্নী ইসলাম।
উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) মুন্নী ইসলাম জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় একটি গ্রুপ মাছ ধরছেন এবং একটি গ্রুপ ধরার চেষ্টা করছে। এসময় তাদের আটক করা হয়। আটককালে ভোলা সদর ও দৌলতখানের বর্ডারে একটি গ্রুপ মৎস্য কর্মকর্তাকে ধাওয়া করেন। মৎস্য বিভাগের লোকজন নিজেদের রক্ষার জন্য মেঘনা নদী ত্যাগ করেন। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |