দূর্বল বাজার ব্যবস্থাপনায় চাল তেল পেঁয়াজে সুখবর নেই

দূর্বল বাজার ব্যবস্থাপনায় চাল তেল পেঁয়াজে সুখবর নেই

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দূর্বল বাজার ব্যবস্থার ধকল ক্রমেই প্রতীক হয়ে উঠেছে। এজন্য সরকারের কোন সিদ্ধান্তই সুফল বয়ে নিয়ে আসে না। অন্যদিকে, সরকারী সিদ্ধান্তের দূর্বলতাও ক্ষেত্র বিশেষে মারাত্মক অরাজক হয়ে দেখা দেয়। ফলে দূর্বল বাজার কাঠামো আরো নাজুক হয়ে উঠে। আর এসব পরিস্থিতির শিকার সাধারণ মানুষ।
দেশের বাজারে নতুন করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর দেড় মাসের বেশি সময় পরও বোতলজাত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট কাটেনি। বরং বর্তমানে উল্টো নতুন করে বাজারে খোলা সয়াবিন তেলেরও সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা সয়াবিন তেলের সংকট বাজারব্যবস্থার দুর্বলতা এবং সরকারি নজরদারির অভাবের একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে।
রান্নার অপরিহার্য এই উপকরণটি নিয়ে বাজারে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, তা সরবরাহ চক্রের নানা অসংগতি ও অপ্রতুল মনিটরিংয়ের কারণে সম্ভব হয়েছে। মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে, নইলে সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব দীর্ঘস্থায়ী হবে।
চাল তেল পেঁয়াজে সুখবর নেইজানা গেছে, সয়াবিন তেলের দাম আবারও বাড়ানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। গত ৯ ডিসেম্বর লিটারে আট টাকা বাড়ানোর পর সম্প্রতি আবারও দাম বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এদিকে রাজধানীর বাজারগুলোয় এখনো চড়া চাল ও মুরগির দাম। তবে কিছুটা স্বস্তি সবজির দামে। ক্রেতার নাগালের মধ্যেই রয়েছে আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দাম।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরো বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে কম্পানিগুলো, যার কারণে তারা বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে।
সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই সময় বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম আট টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর খোলা প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা করা হয়। খোলা পাম তেলও লিটার ১৪৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫৭ করা হয়। এ ছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৮৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৮১৮ টাকা। ভোক্তাদের প্রত্যাশা ছিল, দাম বাড়ানোর পর সংকট কেটে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি। বিশেষ করে বাজারে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ নেই বললেই চলে।
সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বোতলজাত তেল কেটে ড্রামে ভরে খোলা তেলের দামে বিক্রি করছেন। এতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম গুনতে হচ্ছে। বাজারে সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত এবং স্বচ্ছতা আনতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।

Explore More Districts