
ঢাকা, ২৭ নভেম্বর – প্লট দুর্নীতির ৩ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু করে ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
ইতোমধ্যে আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুদকের আইনজীবীরাও।
পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার পরিবারসহ আসামি করা হয় ৪৭ জনকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে ধানমন্ডির সুধাসদনে শেখ হাসিনার স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার নামে থাকা প্লটের তথ্য লুকিয়ে মিথ্যা হলফনামা দিয়ে ও রাজউক বিধিমালা লঙ্ঘন করে প্লট নেন শেখ হাসিনা। এই প্লট নিতে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়। একই অভিযোগে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মামলারও রায় হবে আজ।
এই তিন মামলায় শুরু থেকে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল পলাতক রয়েছেন।
গত রোববার বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে তিন মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের প্লট দুর্নীতি মামলার রায় দেওয়া হবে এক ডিসেম্বর।
পৃথক তিন মামলায় আসামির সংখ্যা মোট ৪৭ হলেও ব্যক্তি হিসেবে সংখ্যা ২৩। শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়া অপর ২০ আসামির মধ্যে রয়েছেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন। এর মধ্যে একমাত্র মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গ্রেপ্তার রয়েছেন।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এনএন/ ২৭ নভেম্বর ২০২৫




