‘দুনীতি বন্ধ করতেই তথ্য অধিকার আইন সরকার করেছে’

‘দুনীতি বন্ধ করতেই তথ্য অধিকার আইন সরকার করেছে’

‘দুনীতি বন্ধ করতেই তথ্য অধিকার আইন সরকার করেছে’দৈনিকসিলেট ডটকম: সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং দুনীতি বন্ধ করতেই তথ্য অধিকার আইন করেছে।
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে তথ্য কমিশন ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, তথ্য অধিকার আইনের ফলে দেশে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেট সিটি করোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জায়েদা শারমীন, জেলা তথ্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল শীল ও আ্ইডিয়ার প্রকল্প সমন্বয়ক তামান্না আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তাহমিনা সুলতানা। আলোচনা সভা সঞ্চালনায় ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোশনূর রুবাইয়াৎ।
বিশেষ অতিথি সিলেট সিটি করোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, তথ্য জানার মধ্য দিয়ে মানুষ পরস্পরের কাছাকাছি আসে।
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা গড়তেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সুপ্রিয় চক্রবর্তী জুয়েল বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করে মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা সেইসব অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ বলেন, তথ্য জানা এবং জানানো-এ দুটি বিষয়েই সকলকে সচেতন হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী এ আইনটি করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, অন্যান্য দেশের মতো তথ্য অধিকার আইনের জন্যে বাংলাদেশে রাজপথে আন্দোলন করতে হয়নি। এক্ষেত্রে সরকারই এগিয়ে এসেছে।
আলোচনাকালে সকল বক্তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
আলোচনা সভা শেষে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সবশেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রতীক এন্দ ও তন্বী দেব সংগীত এবং নীলাঞ্জনা জুঁই ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ডিএস/এমসি

Explore More Districts