কিশোরগঞ্জ, ২১ এপ্রিল – মচমচে শিঙাড়া। দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। ত্রিকোণ বা পিরামিড আকৃতির এই খাবার সবার কাছেই ভীষণ লোভনীয়। একটু খিদে মেটাতে দুপুরের আগে বা বিকেলে শিঙাড়া অসম্ভব এক তৃপ্তি আনে। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় এই শিঙাড়া নিয়ে ঘটেছে এক মজার ঘটনা। পাঁচ বন্ধু মিলে অর্ডার করে বানিয়েছেন দুই কেজি করে ওজনের দুটি শিঙাড়া। ভাবা যায়! তবে তা ছিল শখের বসে। বিশালাকৃতির এ শিঙাড়া দেখতে দোকানে ছুটে এসেছেন উৎসুক মানুষজন। গতকাল রোববার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের আহুতিয়া পুরোনো বাজারে স্বপন মিয়ার হোটেলে এমন কাণ্ড ঘটে।
দিনব্যাপী চলে এ শিঙাড়া বানানোর আয়োজন। উপাদান হিসেবে প্রস্তুত করা হয় ৪ কেজি মুরগির মাংস, পরিমাণমতো আলু, গাজর, বাদাম, আটা, ময়দা ও বিভিন্ন জাতের মসলা। পরে বিকেলে শুরু হয় মূল আয়োজন। শিঙাড়া তেলে ছাড়ার সময় হোটেলটিতে ভিড় করে আশপাশের উৎসুক জনতা।
মোফাজ্জল, অন্তর, মিজান, টুটুল ও দিদার—এ পাঁচ বন্ধু মিলে বিশালাকৃতির এ শিঙাড়া বানানোর পরিকল্পনা করেন। পরে তাঁরা মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক স্বপন মিয়ার কাছে তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানান। তাঁরা সবাই ওই হোটেলের নিয়মিত ক্রেতা। পরে তাঁদের অনুরোধে বানানো হয় দুটি কেজি করে ওজনের দুটি শিঙাড়া। একটি শিঙাড়া বানাতে খরচ পড়েছে প্রায় দেড় হাজার টাকা।
শিঙাড়া তৈরির অন্যতম পরিকল্পনাকারী মোফাচ্ছাল বলেন, ‘বন্ধুরা মিলে একটু ব্যতিক্রম চিন্তাভাবনা থেকেই এ সুস্বাদু শিঙাড়া বানানোর আয়োজন করি। আর এতে অনেক উপাদান দেওয়া হয়েছে, তাই এটি খেতেও খুব মজা হয়েছে।’
হোটেলমালিক স্বপন মিয়া বলেন, ‘ওই পাঁচ বন্ধু আমার দোকানের রেগুলার কাস্টমার। তাই তাদের অনুরোধে এই বিশাল আকৃতির শিঙাড়া বানাতে রাজি হলাম। তা ছাড়া এ সময় উৎসুক জনতার ভিড় দেখে খুব ভালো লেগেছিল।’
উৎসুক জনতার একজন ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এত বড় শিঙাড়া জীবনে কখনো দেখিনি। তাই কীভাবে বানাচ্ছে, তা দেখতে আসলাম।’
সূত্র: আজকের পত্রিকা
আইএ/ ২১ এপ্রিল ২০২৫