দিনাজপুর সংবাদাতাঃ শুরু হয়ে গেছে দিনাজপুরের বড় বড় ফলের বাজার গুলোতে লিচুর আমদানি। ভ্যান রিক্সা ইজিবাইকে করে বাগান থেকে আসছে লিচু। থোকায় থোকায় লাল টসটসে লিচু, দেখলেই জিবে জল এসে যায়।
সপ্তাহ খানেক ধরে দিনাজপুরের বাজারে মাদ্রাজি ও বেদানা চায়না থ্রি জাতের লিচু উঠতে শুরু করেছে। বাজারে লাল রঙের থোকা থোকা লিচু নজর কাড়ছে সবার। দিনাজপুরের রসালো এ লিচুর খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়েই। তবে সুমিষ্ট স্বাদের বোম্বাই, কাঁঠালি ও হাড়িয়া জাতের লিচু এখনো তেমন বাজারে আসতে শুরু করেনি।
দিনাজপুরের নিউমার্কেট এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে গত এক সপ্তাহ ধরে লিচুর উপস্থিতি দেখা গেলেও দিনাজপুরের ঐতিহাসিক বড় ময়দানে লিচুর বাজার জমে উঠেছে। ভ্যান ও অটো রিকশার ওপর থেকেই লিচু বেচা-কেনা করেন লিচু পাইকাররা। পাশাপাশি খুচরা বাজারে লিচুর বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে বড় ময়দান। দীর্ঘদিন থেকে দিনাজপুর শহরের কোতোয়ালি থানার সামনে নিউমার্কেটে এই লিচুর বাজার বসলেও করোনাকাল থেকে এ বাজার নিয়ে যাওয়া হয় বড় ময়দানে।
দিনাজপুরে বড় ময়দানের লিচুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে বর্তমানে উঠেছে মাদ্রাজি ও বেদানা জাতের লিচু। আমদানিও বেশ ভালো। তবে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার দামও বেশ চড়া। খুচরা বাজারে প্রতিশত মাদ্রাজি লিচু বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা দরে। আর বোম্বাই জাতের লিচু প্রতি শত বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা বেদানা জাতের লিচু প্রতি শ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে ১৩০০ টাকা, আর চায়না থ্রি প্রতি শ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত।
দিনাজপুর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজিউর রহমান বিল্পব জানান, বাগানেই এবার লিচুর দাম বেশি। বাগান মালিক ও আগাম বাগান কেনা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে লিচু। সামান্য ভালোই আমরা লিচু বিক্রি করছি। ছবিঃ মুশফিকা মাশফি