তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদের বোলিংয়ে এঁবেখা টেস্টের প্রথম দিনটি দখলে নিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনের শেষ ভাগে ক্রিজে থিতু হয়ে যাওয়া টেম্বা বাভুমা ও রায়ান রিকেলটনকে সাজঘরে পাঠিয়ে প্রোটিয়াদের বড় সংগ্রহের স্বপ্নে বাধা দিয়েছে মুমিনুল হকের দল। প্রথম দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান। তাইজুল ৩টি ও খালেদ নিয়েছেন ২ উইকেট।
এঁবেখা টেস্টে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করার পরিকল্পনা করলেও এবার টস ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। এবার ডিন এলগার বাংলাদেশকে পাঠায় বোলিংয়ে। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই খালেদ আহমেদের বলে পরাস্ত হয়েছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার সারেল আরউই। আম্পায়ার লেগবিফোরের আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, আউট ছিলেন আরউই।
এদিন সেরা লাইনে লেন্থে বল করতে পারেনি টাইগার পেসাররা। শর্ট ও লেন্থ বল করতে করতে হঠাৎ ফুল লেন্থের ডেলিভারিতে আরউইকে ১২তম ওভারে পরাস্ত করেন খালেদ। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন লিটন দাস। প্রথম সেশনে আর দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারেনি বোলাররা। একাই তাইজুল ইসলাম চাপ সৃষ্টি করলেও খালেদ, এবাদত, মিরাজের খারাপ সেশনের ফায়দা নিয়ে ফিফটি তুলে নেন ডিন এলগার। ১ উইকেটে ১০৭ রান করে লাঞ্চে যায় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয় সেশনেও দাপট দেখাতে থাকে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। কিন্তু এলগার-কিগান পিটারসেনের ৮১ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ককে এই বাঁহাতি অর্থোডক্স থামান ৭০ রানে। ১৩৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলীয় স্কোর যখন ১৫৬, তখন বৃষ্টির বাধায় বন্ধ হয় ম্যাচ। তবে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বৃষ্টি। ম্যাচট শুরু হওয়ার পরপরই তাইজুল পরাস্ত করেন কিগান পিটারসেনকে। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও এই দফায় রিভিউ নিতে ভুল করেননি অধিনায়ক মুমিনুল। ফল হিসেবে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৬৪ করা পিটারসেন। ১৮৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ৩ উইকেটে ১৯৯ রান করে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশের সাফল্য দুই উইকেট। রায়ান রিকেলটনকে ফেরাতেও রিভিউ নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আর খালেদের বলে দারুণ ক্যাচ নিয়ে বাভুমাকে ফেরাতে সমান অবদান রেখেছেন নাজমুল শান্ত। ২৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। দিন শেষে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে নামের পাশে ২৭৮ রান জমা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: স্লেজিংয়ের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি: মুমিনুল
এম ই/