দলগুলোর মূল লক্ষ্য হোক নির্বাচন

দলগুলোর মূল লক্ষ্য হোক নির্বাচন

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও গণভোটের তারিখ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি যা-ই থাকুক না কেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশ কার্যত নির্বাচনমুখী হয়েছে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে। গত কয়েক সপ্তাহে রাজনীতিতে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, সে প্রেক্ষাপটে এটি নিঃসন্দেহে বিরাট স্বস্তির বার্তা। পরপর তিনটি নির্বাচনে স্বাধীনভাবে নিজেদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত নাগরিকেরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের জাতীয় নির্বাচনের জন্য।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সংবিধান সংস্কারে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ৯ মাসের যে সংস্কারপ্রক্রিয়া, সেটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনন্য এক ঘটনা। রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা, তর্কবিতর্কের মধ্য দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করে। কিন্তু সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও গণভোটের তারিখ কবে হবে, তা নিয়ে শেষ মুহূর্তে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা তৈরি হয়। পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঐকমত্য কমিশন দলগুলোকে সমঝোতায় নিয়ে আসতে না পারায় সনদ বাস্তবায়নের উপায় কী হতে পারে, সেই সুপারিশ সরকারকে দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে মতৈক্যে পৌঁছাতে সাত দিনের সময় বেঁধে দেয়। তাতে ব্যর্থ হওয়ায় উপদেষ্টা পরিষদ জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করে।

Explore More Districts