স্টাফ রিপোর্টার
অতিরিক্ত গরমে পৌর শহরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে জনসমাগম কম দেখা গেছে। বুধবার সুনামগঞ্জের গড় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে সবোর্চ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম তাপমাত্রা অব্যাহত থাকলে জনজীবনে ভোগান্তি বাড়বে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
গেল কয়েকদিনের মতো বুধবার সকাল থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দুপুর ৩ টায় সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অবশ্য বিকাল ৪ টার পড়ে দমকা বাতাসসহ বৃষ্টিপাত হয়। শহরে মুষলধারে বৃষ্টি ও অন্যান্য উপজেলায় ঝড়োবাতাস সহ শিলাবৃষ্টিপাত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মোহনপুর ইউনিয়নের নুরুল্লা গ্রামের বাসিন্দা এখলাস মিয়া। প্রতিদিন শহরে ভ্যানগাড়ি দিয়ে আম ফেরি করে বিক্রি করেন। ৭ সদস্যের পরিবারের খরচ ও ৫ ছেলে— মেয়ের পড়াশোনার খরচ এই ফেরি করে ব্যবসা থেকেই চলে। তার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের হোসেন বখ্ত চত্ত্বরে দেখা।
তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরে ফেরি করে আম বিক্রি করি। ব্যবসাও মন্দ নয়। তবে গেল কয়েকদিনের গরমের জন্য দুপুরে ভ্যানগাড়ি চালাতে পারি না। দোকান বা গাছের ছায়ায় বসে থাকতে হয়। এতে আগের মতো বেঁচাকেনাও নেই।
শহরতলির বুড়িস্থলের বাসিন্দা মো. ফজর আলী বলেন, ঘরে থাকা যাচ্ছে না গরমে। বাইরে তো বেরই হওয়া যাবে না। তাই বসে আছি। বিকালে তাপ কমলে বাইরে বের হবো।
পৌর শহরের হাসননগরের বাসিন্দা জাহানুর আহমেদ বলেন, একটি কোম্পানিতে মার্কেটিংয়ে কাজ করি। কাজের সুবাদে দোকানে দোকানে যেতে হয়। কিন্তু গত কয়েকদিনের তীব্র গরমের জন্য দুপুরে বের হতে পারছি না। গেলেও বেশিক্ষণ থাকা যায় না। এতে আমাদের মতো মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে বিকাল ৪ টার পরে ধমকা—বাতাসসহ বৃষ্টিপাতের ফলে নগর জীবনে স্বস্তি ফিরেছে।
