তালতলীতে জাল-জালিয়াতি করে অন্যের জমি নিজের নামে নিয়ে বিক্রি করলেন প্রভাবশালী

তালতলীতে জাল-জালিয়াতি করে অন্যের জমি নিজের নামে নিয়ে বিক্রি করলেন প্রভাবশালী

৩১ মে ২০২১ সোমবার ২:০৩:৫১ পূর্বাহ্ন

Print this E-mail this


তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ

তালতলীতে জাল-জালিয়াতি করে অন্যের জমি নিজের নামে নিয়ে বিক্রি করলেন প্রভাবশালী

বরগুনা জেলার তালতলীতে আলী হোসেন নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতি করে অন্যের জায়গা নিজের নামে নিয়ে বিক্রী করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার সকাল ৯টায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা ওই প্রভাবশালী আলী হোসেনের বিরুদ্ধে তালতলী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে এ অভিযোগ করেন ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের সকল সদস্যরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়অঙ্কজোনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমজেদ হোসেন ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর মারা যায় কিন্তু একই এলাকার প্রভাবশালী আলী হোসেন ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারী আমজেদ হোসেনের মারা যাওয়ার ২ মাস পরে তার টিপসই জালিয়াতি করে ১৮ শতাংশ জমি মাত্র ৪ হাজার টাকায় বায়নার একটি কাগজ তৈরি করেন। এর পরে বায়নার কাগজের সূত্রে ঐ জমি প্রভাবশালী আলী হোসেন,ইউসুফ হাং ও হারুন অর রশিদ মিলে ভূয়া দলিলের মাধ্যমে অন্যত্র বিক্রী করে দেন। ভুক্তভোগীরা গত ৮ বছরেও জানতে পারেনি তাদের জমি এভাবে জাল জালিয়াতি করে নেওয়া হয়েছে।

দখলে থাকা জমি প্রভাবশালী আলী হোসেনের অন্যত্র বিক্রী করা মলিকগন বারবার দখল বুঝে নিতে ভুক্তভোগী প্রকৃত মালিককে জমি বুঝিয়া দেওয়ার জন্য হুমকি দামকি দিয়ে আসছেন। ভুক্তভোগী পরিবার নিজেদের দখলে থাকা জমি ছাড়তে না চাইলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এক পর্যায় মৃত আমজেদের বড় মেয়ে আকলিমা বেগম আদালতে জাল জালিয়াতির একটি মামলা দায়ের করেন যা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তদন্তধীন রয়েছে।

মৃত আমজেদ হোসেনের স্ত্রী সেতারা বেগম সংবাদ সম্মেলনে এসে আরও অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী আলী হোসেন জালিয়াতির মাধ্যেমে আমার স্বামীর টিপসই জালিয়াতি করে জমির বায়না নিয়ে গেছেন। যখন জমির বায়না বা দলিল নিছে তার দুই মাস আগে আমার স্বামী মারা গেছে। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করবো যাতে আমার জমি আমি ফিরিয়ে পাই। এই আলী হোসেন তালতলী থানায় মাঝির কাজ করেন ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের হুমকি দামকি দিয়ে আসছে।

এবিষয়ে আলী হোসেন বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছেন সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিক্তিহীন। ১৮ শতাংশ জমির বিষয়ে কোনো বায়না পত্র হয়নি। তবে তাদের থেকে ১৯৯৪-৯৫ সালে আমি জমি কিনেছি।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts