সাবেক সফল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রথম গুরুত্ব শিক্ষায়। শিক্ষকদের জাতীয়করণ, ভাতা বাড়ানোসহ কোনো কিছুর জন্য চিন্তা করতে হবে না। ৭ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষক মহাসমাবেশের প্রধান বক্তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) ও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়া। আরো বক্তব্য দেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।
সমাবেশে সাবেক সফল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এদেশের জনসংখ্যাকে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে মানব সম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে উন্নত দেশের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আজকের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিএনপির ভাপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতো নেতৃত্ব চায়। বাংলাদেশ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি যখন শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী ছিলাম, তখন তিনি কোনো দায়িত্বে ছিলেন না, কিন্তু প্রতিনিয়ত তিনি নির্দেশ দিয়েছিলে কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা যায়। আমি বিশ্বাস করি তিনি বাংলাদেশে এসে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী যখন হবেন তখন ওনার একমাত্র ভীষণ হবে শিক্ষা এবং শিক্ষা।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের অবসর ভাতা চালু করেছিলেন। তিনি শিক্ষকদের কল্যাণ স্ট্রাস্টও চালু করেছিলেন।
শিক্ষকদের উন্নয়ন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু হয়েছিলো। তিনি সেই ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষকদের ৫০ শতাংশ বেতন স্কেল দিয়ে শুরু করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আরো উন্নয়ন করে গেছেন। তিনি ক্ষমতায় এসে খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা চালু করছেন প্রাথমিক স্তরে। তিনি উপবৃত্তি দিয়েছিলেন মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক সম্প্রসারণ করে গেছেন।
পরবর্তী সরকার বাংলাদেশকে নিউক্লিয়ারস বোমা দিয়ে নয় ধ্বংস করেছে শিক্ষা দিয়ে।এই শিক্ষাকে আমাদের পুনরায় উদ্ধার করতে হবে।
চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/
৭ অক্টোবর ২০২৫
