তদবির ছাড়ুন, ভোটের মাঠে নামুন: আহমেদ আযম খানের কড়া বার্তা – News Tangail

তদবির ছাড়ুন, ভোটের মাঠে নামুন: আহমেদ আযম খানের কড়া বার্তা – News Tangail

সজল আহমেদ : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের সাম্প্রতিক হুঁশিয়ারি দলের ভেতরকার দীর্ঘদিনের একটি গুরুতর ব্যাধির প্রতি জোরালোভাবে ইঙ্গিত করে। সখীপুরে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পদ-পদবি আঁকড়ে রেখে তদবির বা সালিশের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। তাঁর এই বক্তব্য একদিকে যেমন দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা, অন্যদিকে তেমনি আগামী নির্বাচনের আগে দলের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামার তাগিদ।

আহমেদ আযম খানের ভাষ্য অনুযায়ী, অনেক নেতাই নাকি ইতোমধ্যে থানা, ইউএনও অফিস, এসি ল্যান্ড অফিস এমনকি ঢাকায়ও তদবিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এটা নিঃসন্দেহে দলের জন্য একটি অশনিসংকেত। যখন একটি প্রধান বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মূল মনোযোগ গণসম্পৃক্ততা ও রাজনৈতিক কর্মসূচির পরিবর্তে তদবিরে নিবদ্ধ থাকে, তখন তা দলের জনভিত্তি দুর্বল করে দেয়। তিনি অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলেছেন, যারা তদবির করতে চান, তাদের পদ-পদবি জমা দিয়ে আসতে হবে। এটি একটি প্রতীকী বার্তা, যা নির্দেশ করে যে দলের পদে থেকে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল বা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে জড়িতদের দল থেকে বহিষ্কার এবং এমনকি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি, যা তাঁর দৃঢ়তারই প্রতিফলন।

ড. মুহম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে আহমেদ আযম খান আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন এবং একে ‘অত্যন্ত কঠিন’ নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে শুধু ঘরে বসে থাকলে চলবে না, বরং প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ জন ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এটি নিঃসন্দেহে তৃণমূল পর্যায়ে দলের সক্রিয়তা বাড়ানোর একটি কার্যকর কৌশল। একই সাথে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আটিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিলের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি স্থানীয় জনমানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করবে।

আহমেদ আযম খানের এই বার্তা বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলকে যদি সত্যিকার অর্থেই শক্তিশালী করতে হয় এবং আগামী নির্বাচনে ভালো ফল করতে হয়, তবে এই তদবিরের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা অপরিহার্য। নেতা-কর্মীদের মনোযোগ এখন থেকেই ভোটের মাঠে, মানুষের দ্বারে দ্বারে এবং দলের মূল আদর্শ ও কর্মসূচির প্রচারে নিবদ্ধ করা উচিত। কেবল তখনই বিএনপি একটি জনমুখী ও শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। তাঁর এই কঠোর বার্তা দলের মধ্যে কতটা প্রভাব ফেলে এবং নেতা-কর্মীরা কতটা সাড়া দেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

Explore More Districts