ডেলিভারি টাইগারের মার্চেন্টদের এসএমই লোন প্রদান করবে ব্র্যাক ব্যাংক

ডেলিভারি টাইগারের মার্চেন্টদের এসএমই লোন প্রদান করবে ব্র্যাক ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিমাসেবা দেওয়ার বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো করপোরেট এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন বিমাপণ্য ও সেবা বিক্রি করতে পারবে। তবে এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। একটি ব্যাংক একই সঙ্গে সর্বোচ্চ তিনটি জীবনবিমা ও তিনটি সাধারণ বিমার পণ্য-সেবা বিক্রি করতে পারবে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ওই নীতিমালা গত জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দেশের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

যেসব ব্যাংকের প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের কম, তারাই শুধু এই সেবায় যুক্ত হতে পারবে। ব্যাংকগুলোকে বিমাপণ্য বিক্রির পর গ্রাহকের বিমাদাবি পাওয়ার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করতে হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংক চূড়ান্ত দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিমাকৃত ব্যক্তি ও তার মনোনীত নমিনিকে যথোপযুক্ত প্রমাণাদি এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করবে।

নীতিমালায় অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে বিমা ব্যবসায়ে যুক্ত হতে হলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মূলধনের বিপরীতে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের (সিআরএআর) অনুপাত হতে হবে সাড়ে ১২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ মূলধন সংরক্ষণ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৪টি ব্যাংকের সিআরএআর সাড়ে ১২ শতাংশের নিচে রয়েছে। খেলাপি ঋণের বিষয়ে বলা হয়েছে, নিট খেলাপি ঋণের হার ৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে এমন ব্যাংকের সংখ্যা ২৬। তবে নিট খেলাপি ঋণ হিসাব করলে এ সংখ্যা বাড়বে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকের নেটওয়ার্ক ও গ্রাহকের তথ্যাদি ব্যবহার করে বিমাপণ্য বিতরণের সুযোগ তৈরি করে বিমা খাতের ব্যাপ্তি বাড়ানোই এর উদ্দেশ্য। ব্যাংকিং ও বিমা পরিষেবার বিস্তৃতি, একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত আর্থিক কাঠামোর আওতায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিস্তার, বিমার আওতায় ভোক্তার নিরাপত্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্বের অগ্রগতিসাধনে সহায়তা ও ব্যাংকাস্যুরেন্সের জন্য ওয়ান-স্টপ সেবা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়াই এর লক্ষ্য।

ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করতে আগ্রহী ব্যাংককে পরপর তিন বছর মুনাফায় থাকার শর্ত দেওয়া হয়েছে নীতিমালায়। এতে বলা হয়, অনুমোদন পাওয়ার পর স্বতন্ত্র ব্যাংকাস্যুরেন্স ইউনিট বা উইং প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংক বিমাকারীর বিমাসংক্রান্ত কোনো ঝুঁকি গ্রহণ করবে না বা বিমাকারী হিসেবে কাজ করবে না মর্মে স্পষ্টভাবে ঘোষণা প্রদান করবে।

নীতিমালার শর্ত উল্লেখ করে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংক কোনো গ্রাহককে বিমাপণ্য গ্রহণে বাধ্য করতে পারবে না। এ ছাড়া কোনো গ্রাহককে বিমাপণ্য ক্রয়ে উৎসাহিত করার জন্য বিমা কোম্পানি ঘোষিত মূল্য ব্যতিরেকে অন্য কোনো প্রণোদনা (অতিরিক্ত ছাড়/নগদ ফেরত অথবা কোনো প্রকার ফি বা সুদ মওকুফ) দেওয়া যাবে না।

বিমা বিশেজ্ঞরা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছিলাম, ব্যাংকাস্যুরেন্স হোক। শেষ পর্যন্ত এর নীতিমালা ও নির্দেশিকা জারি হওয়ায় আমরা খুশি। এখন এটির কার্যক্রম চালু হওয়া সময়ের ব্যাপার। আশা করছি, ব্যাংকাস্যুরেন্স পুরোপুরি চালু হলে শুধু বিমা খাত নয়, ব্যাংক খাতও লাভবান হবে। আর বিমা পলিসি কেনার গ্রাহকও এখন আগের তুলনায় বাড়বে।’ তাদের মতে, ‘জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান যে এখন ১ শতাংশের কম, এক ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হওয়ার পর তা কমপক্ষে ওই ১ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।

Explore More Districts