বকশীগঞ্জ সংবাদদাতা : জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবিতে ডাকা শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. ইদ্রিছ আলী নামে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বকশিগঞ্জ থানা পুলিশ। ৩০ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গেছে, খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদারের বিরুদ্ধে কলেজ পরিচালনায় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মীয়করণ ও অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ থাকায় তার পদত্যাগের দাবিতে ২৫ আগস্ট রোববার সকালে এক ঘন্টা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওইদিন অধ্যক্ষের লেলিয়ে দেওয়া একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ওই হামলায় কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মো. আব্দুল্লাহ আল শাফী লিপনসহ বেশ কয়েজন গুরুতর আহত হন। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত আব্দুল্লাহ আল শাফী লিপন বাদী হয়ে অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদারকে প্রধান আসামি করে ২৮ আগস্ট বুধবার হামলাকারী নয়জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও অন্তত ৬০ জনকে আসামি করে বকশিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বাকি আসামিরা মো. রাসেল সরকার, মো. গোলাম রব্বানী বানী, মো. বুলবুল আহমেদ, মো. হযরত আলী, মো. বিট্টুু মিয়া, মো. ইদ্রিছ আলী, মো. আনোয়ার হোসেন দুলাল ও মো. তোফাজ্জল তোফা। তারা সবাই স্থানীয় পাখীমারা গ্রামের বাসিন্দা। আসামিদের মধ্যে মো. ইদ্রিছ আলীকে ৩০ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে বকশিগঞ্জ থানা পুলিশ। তিনি স্থানীয় পাখীমারা গ্রামের মৃত আ: সাত্তারের ছেলে। এ ব্যাপারে বকশিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. ইদ্রিছ আলী নামের একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে শনিবার দুপুরে জামালপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।