৫ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার ৭:২২:৫৪ অপরাহ্ন | ![]() ![]() ![]() ![]() |
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

পটুয়াখালী পৌর নির্বাচনআগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাচন।ভোট গ্রহণের দিন যত এগিয়ে আসছে পৌরবাসীর উন্মাদনাও তত বাড়ছে।এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন ‘গরিবের ডাক্তার’খ্যাত মো.শফিকুল ইসলাম বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি এলাকাবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র ডা. শফিকুল ইসলামের পক্ষে তাই এবার গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। মোবাইল প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ বছর পর আবারও পৌর মেয়র বাছাইয়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়র হিসেবে ডা. শফিকুলের বিকল্প নেই। বর্তমানে পৌরসভার অসংখ্য উন্নয়নমূলক এবং জনগণের জীবনব্যবস্থার মান উন্নয়নের কাজ করা বাকি আছে, যা বর্তমান মেয়র মো. মহিউদ্দিন আমলেই নেননি। সাধারণ ভোটারদের বক্তব্য, একজন চিকিৎসক হিসেবে রোগীর কাছে ডা. শফিকুল যতটা আন্তরিক, রাজনীতিবিদ হিসেবেও ততটাই জনবান্ধব। তিনি নাগরিকদের সঙ্গে ভাই-বন্ধুর মতো আচরণ করেন। তাই পৌরবাসীর উন্নয়নের জন্য ডা. শফিকুল যোগ্য মেয়র হবেন বলে বিশ্বাস তাদের।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই দশক ধরে পটুয়াখালী শহরের গরিব-অসহায় এবং দুস্থ-ছিন্নমূল মানুষকে বিনা টাকায় চিকিৎসাসেবা দিয়ে একটি স্বচ্ছ ইমেজ তৈরি করতে পেরেছেন ডা. শফিকুল। যাদের ওষুধ কেনার সামর্থ্য ও সক্ষমতা ছিল না, তাদের ওষুধও কিনে দিয়েছেন তিনি। পৌর শহরবাসীর কাছে তিনি মানবতার ডাক্তার হিসেবেই বেশি পরিচিত। ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ডা. শফিকুল। এর আগে তিনি পটুয়াখালী পৌরসভায় আট বছর মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে ফুট ওভারব্রিজ, দুই লেনের সড়ক, আধুনিক ঈদগাহ ময়দানসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করে শহরবাসীর নজর কেড়েছেন। তাই এবারের নির্বাচনে তাকেই মেয়র হিসেবে দেখতে চান পৌরবাসী। তারই ধারাবাহিকতায় দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও তার নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমেছেন। দিন যত যাচ্ছে মিছিল আর নির্বাচনী প্রচার সভায় বাড়ছে জনস্রোত।
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মানবদরদী নেতা ডা. শফিকুলকে অবশ্যই মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। একজন ছাত্রনেতা এবং তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমি অবশ্যই চাই তিনি জনপ্রতিনিধি হন। পৌরবাসীরাও তাকেই চান। এই শহরের উন্নয়নের যাত্রাটি ডা. শফিকুল ইসলামের হাত ধরেই শুরু হয়।
শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ২২ বছর ধরে পটুয়াখালীতে মানুষের চিকিৎসা করছি। পাশাপাশি রাজনীতির মাধ্যমেও মানুষের পাশাপাশি আছি। ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছি। তিনি বলেন, আমি আমার চিকিৎসক জীবনে প্রায় ৩০ হাজার অপারেশন করেছি। কোনো গরিব-অসহায় মানুষ আমার কাছে এসে টাকার অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গেছে এমনটি কোনোদিন ঘটেনি। তাদের সঙ্গে আমার আত্মার এবং মানবিক সম্পর্ক। মানুষের সুখ-দুঃখে সবসময়ই পাশে থাকার চেষ্টা করেছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। আমার বিশ্বাস—আগামী নির্বাচনে সর্বস্তরের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করবেন।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |