ঠাকুরগাঁওয়ে ২ শিশু সন্তানসহ মায়ের লাশ উদ্ধার
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ২ শিশু সন্তানসহ মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের তীরনই নদী থেকে স্থানীয়রা নাসিমা বেগম (৩৩) ও তার দুই শিশুপুত্র সাফায়েত (৪) ও শাওনের (৮) লাশ উদ্ধার করে। নিহত নাসিমা ওই ইউনিয়নের কাশুয়াডাঙ্গা (কাশিডাঙ্গা) গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিমের স্ত্রী।
কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বকুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে পারিবারিক ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নাসিমা ও তার দুই শিশু সন্তানসহ তীরনই নদীর ধারে ছাগল চড়াতে যায়। সেখানেই (নদীতে) তারা দুপুরের গোসল করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। পরে সন্ধ্যা হলেও নাসিমাসহ তার দুই শিশুপুত্র বাড়িতে না ফেরায় তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেন। অনেক রাত পর্যন্ত নদী এলাকাসহ বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খুঁজেও তাদের পাওয়া যায়নি।

পরে আজবার সকালে নাসিমার শ্বশুর সামসুল হক তীরনই নদীর ধারে নাসিমাসহ দুই শিশু সন্তানকে বালুর মধ্যে আটকা থাকা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় লাশ নদী থেকে তোলা হয়।
নাসিমার মা খালেদা ও বোন এ ঘটনাকে হত্যা বলে দাবি করছেন। খালেদা বেগম বলেন, তার জামাই একজন জুয়াড়ি। জুয়ার টাকার জন্য আমার মেয়েকে প্রায় অত্যাচার করত।
অপরদিকে নাসিমার স্বামী আব্দুর রহিম ও শ্বশুর সামসুল হক ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে দাবি করছেন। এ অবস্থায় তাদের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বকুল জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কাশিডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী তার ৪ বছর ও ৮ বছর বয়সী দুই ছেলে সন্তানকে নিয়ে বাড়ির পাশের তীরনই নদীর ধারে গরু চড়াতে যায়। তবে বিকেল ৪টার পর মা ও ওই দুই শিশু সন্তানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয় লোকজন তাদের তিনজনেরই লাশ তীরনই নদী থেকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের সময় শিশু দুটির হাত মায়ের শাড়ির আঁচল দিয়ে বাঁধা ছিল। তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
রাণীশংকৈল থানার ওসি গুলফামুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে এএসপি সার্কেল স্যার রেজাউল হকসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে আছেন।
এএসপি রেজাউল হক মুঠোফোনে জানান, আমরা এখনো ঘটনাস্থলে তদন্তে আছি। লাশের সুরতহাল শেষে যথারীতি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। সে রিপোর্টের পর এ মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।