ট্রাম্প বিশ্বাস করেন/ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে সৌদি আরব

ট্রাম্প বিশ্বাস করেন/ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে সৌদি আরব

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বাস করেন যে, সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। তিনি বলেন সৌদি আরব শীঘ্রই আব্রাহাম চুক্তির অংশীদার হবে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সৌদি আরব আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে’।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) টাইম ম্যাগাজিনে ট্রাম্পের প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। গত ২২ এপ্রিল ট্রাম্পের সাক্ষাৎকারটি নেয় সংবাদমাধ্যমটি।
আব্রাহাম চুক্তিটি মূলত এমন একটি স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি, যা ট্রাম্পের প্রথমবারের প্রশাসন ইসরাইল এবং কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করে বাস্তবায়ন করেছিল।
ট্রাম্পের সৌদি আরব সফর আগামী মাসেই। এটিই তার দ্বিতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বিদেশ সফর হতে যাচ্ছে। তার প্রথম সফরটি ছিল ভ্যাটিকানে, পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য।
সৌদি সফরকে সামনে রেখে এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তিগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আমি মনে করি এটি খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে’।
ট্রাম্প এ সময় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সৌদি জনগণের প্রতি তার পছন্দের কথাও জানান। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবৃ আমাদের অর্থনীতিতে এক ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে’।
সৌদি সফরের ট্রাম্প কি করবেন সেটাও জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এরপর আমি কাতারে যাব। তারপর আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাব’।
ট্রাম্প এ সময় আব্রাহাম চুক্তির ‘বিশাল সফলতা’ থামানোর জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে দোষারোপ করেছেন।
তার ভাষায়, ‘তারা আব্রাহাম চুক্তি নিয়ে কিছুই করেনি। আমাদের সেখানে চারটি দেশ ছিল, সবকিছুই প্রস্তুত ছিল। আমরা এটি সম্পন্ন করতে পারতাম। এখন আমরা আবার শুরু করতে যাচ্ছি’।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন সৌদি সফরকে কেন্দ্র করে রিয়াদের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অস্ত্র বিক্রির একটি বড় ধরনের প্যাকেজ প্রস্তাবের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মে মাসে ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের সময় এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হতে পারে।
রয়টার্স জানায়, বিষয়টি সম্পর্কে সরাসরি জানেন এমন ছয়টি সূত্র এই পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বাইডেন প্রশাসন সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে রিয়াদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করার চেষ্টা করেছিল। তবে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। এবার ট্রাম্প প্রশাসন আরও বৃহত্তর এবং অস্ত্র বিক্রিকেন্দ্রিক প্রস্তাব নিয়ে সামনে এগোচ্ছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প প্রশাসন সেই পথেই হাঁটছে। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের প্রশাসনের এবারের অন্যতমপররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে, সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা।

Explore More Districts