ট্রাম্পের ‘শুল্ক হামলা’ আসিয়ানের ঐক্যকে পোক্ত করবে

ট্রাম্পের ‘শুল্ক হামলা’ আসিয়ানের ঐক্যকে পোক্ত করবে

বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশে রাজনীতি নিয়ে হিংসা, সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা দেখা যায়, কিন্তু আসিয়ানে এমনটা খুব একটা হয় না।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ লাগার মতো পরিস্থিতি হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্য সব সময়ই যুদ্ধ ও অশান্তিতে থাকে। এমনকি ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার মতো বড় দেশগুলোর নেতারাও একে অপরের সঙ্গে কথাই বলেন না।

কিন্তু আসিয়ান ৪৮ বছর ধরে নিয়মিত বৈঠক করছে। তাদের মধ্যে প্রতি বছর প্রায় ১,০০০টি মিটিং হয়। এই নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমেই তারা গঠনমূলক সম্পর্ক গড়তে শিখেছে।

কেউ কেউ বলে আসিয়ান খুব ধীরে চলে, কিন্তু এই ধীর-স্থির ও মিলে-মিশে চলার নীতিই আসিয়ানকে এতগুলো বছর, এমনকি অর্থনৈতিক সংকটের সময়ও একসঙ্গে টিকিয়ে রেখেছে।

এখন ট্রাম্পের শুল্ক নীতির জবাবে আসিয়ান একসঙ্গে কাজ করছে। যদিও ট্রাম্প প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা করে শুল্ক ধরেছেন। যেমন কম্বোডিয়ার জন্য ৪৯ শতাংশ আর সিঙ্গাপুরের জন্য ১০ শতাংশ। তবে আসিয়ান দেশগুলো বুঝেছে, এক সঙ্গে থাকলেই শক্তি বাড়ে।

তাই কুয়ালালামপুরে আসিয়ান সম্মেলনে তারা ট্রাম্প ও আসিয়ানের ১০ দেশের নেতাদের নিয়ে একটি সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছে।

এর আগেও আসিয়ান ঘোষণা দিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও জোরালো ও ভবিষ্যৎমুখী অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়তে চায়। তারা এমন একটা সহযোগিতা চায় যাতে উভয় পক্ষ লাভবান হবে, বিশেষ করে প্রযুক্তি ও উচ্চ-মূল্যের খাতগুলোতে।

Explore More Districts