টোল প্লাজায় ডাকাতির প্রস্তুতি:বরিশালে ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতার বিরুদ্ধে মামলা

টোল প্লাজায় ডাকাতির প্রস্তুতি:বরিশালে ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতার বিরুদ্ধে মামলা

২০ June ২০২৫ Friday ৩:৫১:৫৮ PM

Print this E-mail this


নগর প্রতিনিধি:

টোল প্লাজায় ডাকাতির প্রস্তুতি:বরিশালে ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতার বিরুদ্ধে মামলা

টোল প্লাজায় ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির পদ স্থগিত হওয়া যুগ্ম সদস্য সচিব মারজুক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানায় উপপুলিশ পরিদর্শক নূরুজ্জামান বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন—বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানাধীন চরআইচা এলাকার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে শিপন হাওলাদার, সদর এলাকার আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন। দুমকি থানায় গত ৬ জুন মামলা হলেও সম্প্রতি এই তথ্য জানাজানি হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ স্থগিত হওয়া এই নেতাকে ‘পেশাদার ডাকাত’ উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, দুমকি থানাধীন লেবুখালী ইউনিয়নের পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ডিউটি করাকালীন পুলিশ জানতে পারে দুটি মোটরসাইকেলযোগে ৫/৬ জনের একটি দল ডাকাতি করার জন্য বরিশাল থেকে পটুয়াখালীর দিকে যাচ্ছে। ডাকাতদের ধরতে টোলপ্লাজায় পুলিশ অবস্থান নেয় এবং তল্লাশি কার্যক্রম চালাতে থাকে। পরবর্তীতে দুটি মোটরসাইকেল কিছু দূরত্ব বজায় রেখে চালিয়ে চেকপোস্টের কাছাকাছি পৌঁছলে সামনের মোটরসাইকেল চেকপোস্ট গাড়ি রেখে আরোহী তিনজন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় দুইজনকে ধরে ফেলে পুলিশ। আটককৃতরা হলো শিপন ও মামুন। একজন পালিয়ে যান। এই অবস্থা দেখে পেছনের অন্য মোটরসাইকেলটি ঘুরিয়ে পথ পরিবর্তন করে দ্রুত পালিয়ে যায়। 

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, মারজুক আব্দুল্লাহ, মামুন ও শিপন পেশাদার ডাকাত চক্রের সদস্য। মারজুক আব্দুল্লাহ মোটরসাইকেল রেখে পুলিশের সিগন্যাল পাওয়া মাত্রই পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জোরপুর্বক অর্থ হাতিয়ে নেয় বলেও স্বীকারোক্তিতে জানায়।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, আটককৃতদের কাছ থেকে, খেলনা পিস্তল, ওয়াকিটকি, ইলেকট্রিক শক ডিভাইস এবং মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের জবানবন্দি অনুসারে ওইদিন পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। পলাতক মারজুক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গণ অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরে ১৪ মে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মারজুক আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে নাম উল্লেখ করে ২৪৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দিয়ে আলোচনায় আসেন। অচেনা ব্যক্তিদের মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করেন। মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০ মে পদ স্থগিত হয় বলে জানান বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সোহাগ।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts