বক্তারা বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর চলতি বছরের ১৭ জুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেন। কিন্তু পরিপত্রে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা দেশের ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও সমমনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রায় এক কোটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জারিকৃতি পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক, পক্ষপাত ও অগ্রহণযোগ্য পরিপত্র বাতিল করে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করে বৈষম্যহীন ও গ্রহণযোগ্য নতুন পরিপত্র জারি করার দাবি করছি।
তারা আরও বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকার শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে, দুপুরের খাবার দিচ্ছে। অথচ সরকারের এসব খাতে ব্যয় ছাড়া প্রয়ি এক কোটি শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিয়েছে দেশের কিন্ডারগার্টেনগুলো। কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা সরকারি বই পাচ্ছে, সরকারি সনদ পাচ্ছে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। অথচ প্রাথমিক বৃত্তিতে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি না করে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। দ্রুত এই বৈষম্য দূরিকরণের দাবি করছি। নতুন পরিপত্র জারি করা না হলে কঠোর হুঁশিয়ারিও দেন অ্যাসোসিয়েশনের এই নেতারা।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
–
“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।