নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় টাঙ্গাইলের মধুপুর ও মির্জাপুর পৃথক দুই থানায় নাশকতা মামলায় বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। পরে তাদেরকে ওই দুই থানায় হস্তান্তর করে পুলিশ।
তারা হলেন- ভূঞাপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার আমিনুল ইসলাম (৫২) এবং তার ছেলে ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ শাখা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খন্দকার ফরহাদ হোসাইন (৩০)।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহহস্পতিবার (০১ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের গত ৪ আগস্ট দুপুরে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ছাত্র-জনতার মিছিলে খন্দকার আমিনুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও ৩০০/৪০০ ব্যক্তি পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-নিয়ে ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়। এই ঘটনায় মধুপুর থানায় নাশকতার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এছাড়াও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও জবর দখল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বর্তমানে তিনি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষে গোপনে কাজ করে যাচ্ছে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অপরদিকে- তার ছেলে ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ শাখা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খন্দকার ফরহাদ হোসাইন একই দিন দুপুর আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্রজনতার উপর দেশীয় অস্ত্র হাতে হামলা চালায়।
এসময় খন্দকার ফরহাদ হোসাইন তার সহযোগিদের নির্দেশ দেন ছাত্রদের শেষ করে দেওয়ার জন্য। পরে সহযোগিরা ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালায়। এসময় একাধিক ছাত্র আহত হয়। এ ঘটনায় পরে তার বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় নাশকতার মামলা দায়ের হয়।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, নাশকতার মামলায় খন্দকার আমিনুল ইসলাম এবং তার ছেলে খন্দকার ফরহাদ হোসাইনকে গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই রাতেই আমিনুল ইসলামকে মধুপুর ও পর দিন শুক্রবার তার ছেলেকে মির্জাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
–
“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।