নাসির উদ্দীন বুলবুল,গাজীপুর প্রতিনিধি: টঙ্গীর গাজী বাড়ি এলাকায় রাবেয়া সাবরিন লিখন (২৫) নামে এক প্রতিবন্ধী নারীকে ভাড়াবাসায় হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক গোলাম মোস্তফাকে (৪৮) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে টঙ্গীর উত্তর আরিচপুর গাজী বাড়ি পুকুর পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত লিখন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে টঙ্গী শারিরীক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন।তিনি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার উত্তর পটখালি গ্রামের সেলিম হাওলাদারের মেয়ে। তিনি টঙ্গীর গাজী বাড়ি পুকুর পাড়ের উত্তর-পশ্চিম পাড়ে জনৈক গোলাম মোস্তফার মালেক মঞ্জিলের দোতলায় একটি ঘরে ভাড়ায় থাকতেন।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিবন্ধী যুবতী লিখন একটি রুমে একাই থাকতেন। অবিবাহিত হওয়ায় একা থাকলেও মাঝে মধ্যে তার মা বাসায় আসতেন।লিখন সকালে ঘুম থেকে উঠে ৬টার দিকে রান্না করে খেয়ে সকাল ৮টার দিকে অফিসে যেতেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘরের বাইরে রান্না বসায়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লিখনের ঘরের বিপরীতে থাকা ভাড়াটিয়া সাদিয়ার কাছে বাড়ির মালিক গোলাম মোস্তফা ভাড়ার জন্য আসেন। এ সময় সাদিয়ার স্বামী গার্মেন্টসে ছিলেন।
মোস্তফা সাদিয়ার কাছে ভাড়া চাইতে গেলে তিনি তাকে জানান, লিখনের ঘর বাইরে থেকে আটকানো ও ঘরের বাইরে রান্নাঘরে খিচুড়ি পোঁড়ার গন্ধ আসছে। এ সময় তিনি ও পাশের ভাড়াটিয়া সাদিয়া লিখনের ঘর আটকানো সিটকারী খুলে দেখেন- লিখন হাত পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে আছে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলের বিপরীতে থাকা ভাড়াটিয়া সাদিয়া আক্তার জানান, বাড়ির মালিক তার কাছে ভাড়ার জন্য আসলে লিখনের রুম বাইরে থেকে বন্ধ ও রান্নাঘরে খিচুড়ি পোড়ার কথা জানান। এরপর মালিক ও সাদিয়া রুম খুললে লিখনকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় খাটে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।
বাড়ির মালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ভাড়ার জন্য এসে তিনি এই খবর পান। দরজা খুলে দেখেন লিখন মৃত।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, আলামত বলছে, প্রতিবন্ধী লিখনকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
