ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক : গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার পশ্চিম আরিচপুর এলাকায় এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর পেছনে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার।
নিহত তরুণীর নাম মিতু (১৮)। চার বছর আগে জোরপূর্বক তার বিয়ে হয় আল-আমিন (৩৫) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে, যার আগেও এক স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহতের বাবা চাঁন মিয়া জানান, বিয়ের পর থেকেই মিতুকে তার স্বামী আল-আমিন ও প্রথম স্ত্রী শাহীনা (২৬) যৌথভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। বারবার যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া হতো। “মেয়ের শান্তির জন্য একাধিকবার টাকা-পয়সা দিয়েছি, কিন্তু অত্যাচার থামেনি,” বলেন চাঁন মিয়া।
চাঁন মিয়ার অভিযোগ, আল-আমিন, শাহীনা ও তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় শাহীনা এবং সোহেল (২৫) – যাদের বাড়ি টঙ্গীর ব্যাংকের মাঠ এলাকায় – নিয়মিত মিতুর ওপর নির্যাতন চালাতেন। একপর্যায়ে অতিরিক্ত নির্যাতনের ফলে মিতু অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসা করালে রক্তে ইনফেকশন, ডায়াবেটিসসহ একাধিক জটিল রোগ ধরা পড়ে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর গত ২৩ জুন ২০২৫ তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মেয়ের মৃত্যুর পরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে চাঁন মিয়া বলেন, “অভিযুক্তরা হুমকি দিয়েছে, কেউ আইনি পদক্ষেপ নিলে আমাদের মেরে ফেলা হবে।” এই ভয়ে এতদিন মামলা করতে পারেননি তিনি।
বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে আসায় তিনি টঙ্গী পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা সঠিক তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
