ঝালকাঠিতে ‎অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

ঝালকাঠিতে ‎অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

১৫ October ২০২৫ Wednesday ৭:২০:২০ PM

Print this E-mail this


ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠিতে ‎অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

‎ঝালকাঠি সদর উপজেলার রমজানকাঠী কারিগরি ও কৃষি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পীযুষ কান্তি মণ্ডল(৭৬) কে স্থানীয় বিএনপি নেতা রিয়াজুল আমিন ওরফে জামাল সিকদার লাঞ্ছিত করে  ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়েছে বলে   অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঝালকাঠি সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। 

‎অধ্যক্ষ ‎অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ১৩ অক্টোবর (সোমবার) সকাল ১১টার দিকে ১নং গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জামাল সিকদারের নেতৃত্বে ২০–৩০ জন অপরিচিত ব্যক্তি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। তারা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন ক্লাসরুমে গিয়ে শিক্ষক, কর্মচারী ও উপস্থিত কয়েকজনের কাছ থেকে দুটি সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন।

‎অধ্যক্ষ দাবি করেন, তিনি স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে জামাল সিকদার ও তার সহযোগীরা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ভয়ভীতি দেখান এবং শেষে জোরপূর্বক স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন।

‎তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ওই সাদা কাগজগুলো পরবর্তীতে অনৈতিক বা বেআইনি কাজে ব্যবহার হতে পারে, যা কলেজের সুনাম ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তিনি বিষয়টি থানায় নথিভুক্ত করেছেন বলে জানান।

অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রিয়াজুল আমিন ওরফে জামাল সিকদার বলেন, অধ্যক্ষের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা সেদিন এলাকাবাসীদের নিয়ে কলেজে  শিক্ষা উন্নয়ন কমিটি বাতিলের দাবিতে একটি প্রতিবাদ সভা করেছিলাম। কারন কমিটিতে  বিতর্কিত লোকজন রয়েছে।

‎রমজানকাঠী কারিগরি ও কৃষি কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, একজন শিক্ষক ও অধ্যক্ষকে এভাবে অপদস্থ করা এবং জোরপূর্বক স্বাক্ষর করানো নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।

‎তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কেউ যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকা জরুরি।

‎এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, অধ্যক্ষের লিখিত আবেদন আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts