জোয়ারের চাপে ভাঙন, আতঙ্কে উপকূলবাসী

জোয়ারের চাপে ভাঙন, আতঙ্কে উপকূলবাসী

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সাতক্ষীরা উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও এখন তা কমতে শুরু করেছে। আর নদীর পাড় এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগরে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার ৯নং সোরা গ্রাম সংলগ্ন চর এলাকায় পূর্ণিমার অতিরিক্ত জোয়ারের চাপে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্য গাবুরার ৫০০ মিটারের মত এলাকাজুড়ে ভাঙন ধরেছে। অনেক স্থানে বাঁধ ধসে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

গাবুরার গ্রামের বাসিন্দা হুদা মালী বলেন, বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। যে কোনো সময় ভেঙে নদীতে বিলীন হতে পারে। এলাকার মানুষ আতঙ্কে আছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেন জানান, সোরা গ্রামের হাসান মালীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৫০০ মিটারজুড়ে ভাঙন ধরেছে। বড় বড় মাটির স্তূপ ও গাছপালা নদীরগর্ভে চলে যাচ্ছে।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি.এম মাসুদুল আলম জানান, ওই এলাকায় খোলপেটুয়ার বেড়িবাঁধটি চর থেকেও খানিকটা দূরে। মূলত চর ভেঙে বেড়িবাঁধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বাঁধটি খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভাঙন এভাবে চলতে থাকলে স্বল্প সময়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে গোটা এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রা বাঁধটি মেরামতের চেষ্টা করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এখনই পদক্ষেপ না নিলে যে কোন সময় ভয়াবহ বিপদ হতে পারে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জানান, সোরা গ্রামের পাশে দৃষ্টিনন্দন এলাকায় কিছুদিন আগে ভাঙন ধরেছিল। সে সময় বেশকিছু জিও ব্যাগ পাঠানো হয়েছিল। যেগুলো অব্যবহৃত রয়েছে আপাতত সেগুলো দিয়ে ভাঙন রোধের কাজ চলছে। এছাড়া নতুন করে আরও কিছু জিও ব্যাগ পাঠানো হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে কাজ করছে।

Explore More Districts