সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু করিচর সেতু এলাকায় এবং দুপুর ১২টার দিকে হরিপুর ৭ নম্বর কূপের সামনে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কের হরিপুর ৭ নম্বর কূপের সামনে একটি হাইয়েস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সড়কের পাশে থাকা একটি চা দোকানের সামনে কর্মরত আনসার সদস্য মোস্তফা মিয়া চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় আরো দুজন গুরুতর আহত হন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এর আগে সকালে এশিয়া ট্রান্সপোর্ট পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-২৮৪৭) একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে জাফলং যাওয়ার পথে হেমু করিচর সেতু এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় বাসের হেলপার জিহাদ (২০) নিহত হন।
নিহত জিহাদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার হাজিগঞ্জ (পার্ট) গ্রামের নুরুল হক নূরার ছেলে।
দুর্ঘটনায় বাসের আরো প্রায় ১০ জন যাত্রী আহত হন।
তামাবিল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর কিছু সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’


