সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির ৬০তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান। এটি উদযাপন করেছেন জেমস বন্ডের প্রযোজক বারবারা ব্রোকলি এবং মাইকেল জি উইলসন। হলিউড বুলেভার্ডে ফ্যাবলড টিসিএল চাইনিজ থিয়েটারের অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন।
জেমস বন্ড, নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলী ও সুদর্শন একটি মুখ। শন কনারি, জর্জ ল্যাজেনবি, রজার মুর, টিমোথি ডালটন, পিয়ার্স ব্রসনান এবং সবশেষ ড্যানিয়েল ক্রেগকে ০০৭ এজেন্ট হিসেবে দেখেছেন দর্শক।
একেক জেমস বন্ড তাদের ভিন্ন ভিন্ন সত্ত্বাকে ফুটিয়ে তুলেছেন পর্দায়। রজার মুর হাস্যরসাত্মক এবং সৌন্দর্যের বিষয়টি এনেছিলেন। পিয়ার্স ব্রসনান দেখিয়েছেন বুদ্ধিদীপ্ত এবং ব্যক্তিত্বপরায়ণ এক জেমস বন্ডকে। জেমস বন্ড সিরিজের পঁচিশতম সংস্করণ ‘নো টাইম টু ডাই’এ সর্বশেষ স্টাইলিশ জেমস বন্ড হিসেবে দেখা যায় ড্যানিয়েল ক্রেগকে। তার চরিত্রটি নজর কাড়ে সবার। তবে তারপর কোন অভিনেতা এ ভূমিকায় এগিয়ে যাবেন তা নিয়ে চলছে এখন জোর চর্চা।
এরই মধ্যে প্রযোজকদের তরফ থেকে ঘোষণা এলো- ২৬তম জেমস বন্ড সিনেমার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী বছরের শুরুতে।
এ প্রসঙ্গে প্রযোজক রবারা ব্রোকলি বলেন, আমরা সবেমাত্র ‘টিল’ নামে একটি চলচ্চিত্র শেষ করেছি, যা যুক্তরাষ্ট্রে অক্টোবরে এবং আগামী বছরের শুরুতে বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র হতে যাচ্ছে হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে; তবেই আমরা পরের বছর বন্ড নিয়ে ভাবতে শুরু করবো।
প্রয়াত কিউবি ব্রকোলির কাছ থেকে বন্ড চলচ্চিত্র নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রযোজক বারবারা ব্রোকলি। তাই জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির ৬০তম বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে একটি মাটির পাত্রে হাত ও পায়ের ছাপের মাধ্যমে তাকে সম্মান জানানো হয়।
আরেক প্রযোজক মাইকেল জি. উইলসন বলেন, টিসিএল চাইনিজ থিয়েটারে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। আমি এবং বারবারা চলচ্চিত্র দেখতে পছন্দ করি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ করতেও পছন্দ করি’।
প্রযোজক রবারা ব্রকলি আরও বলেন, আমার বাবা কিউবি ব্রকোলি দর্শকদের সামনে এনেছিলেন জেমস বন্ড চরিত্রটি। আর এর জন্যই তার নাম আজও লেখা আছে ‘ওয়াক অফ ফেমে’। সত্যি এটি বিশাল সম্মানের। বিশেষ এই দিনে আমি তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
মোট ২৫টি বন্ড সিনেমা দিয়ে বক্স অফিসে ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে এ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সর্বকালের পঞ্চম-সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র সিরিজ বলা হয় জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিকে।
/এসএইচ