যদি আপনি স্বাভাবিক উপায়ে কোমরের কাছে জমে থাকা বাড়তি মেদ কমাতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় আরও ফাইবার যোগ করা জরুরি। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ফাইবারকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করা হয়। কিন্তু এই ফাইবার স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে, পেট ফাঁপা কমাতে এবং হজম উন্নত করতে সাহায্য করে। ফাইবার গ্রহণ বৃদ্ধি করলে কোমরের বাড়তি মেদ ঝরানো হতে পারে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখে
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি হলো ক্ষুধা এবং আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করা। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজমকে ধীর করে দেয়, যা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরিয়ে রাখে। এটি অপ্রয়োজনীয় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে, অনায়াসে ক্যালোরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
২. হজম উন্নত করে এবং পেট ফুলে যাওয়া কমায়
ধীর পরিপাকতন্ত্র ফুলে যাওয়া এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে, যার ফলে আপনার কোমর বড় দেখাতে পারে। ফাইবার সুস্থ মলত্যাগে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর ফলে পেট চ্যাপ্টা হয় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার রক্তে চিনির শোষণকে ধীর করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সহায়তা করে। এটি হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি এবং ক্র্যাশ প্রতিরোধ করে, অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা হ্রাস করে যা কোমরের চারপাশে মেদ ঝরাতে কাজ করে।
৪. বিপাক বৃদ্ধি করে
ফাইবার খাওয়ার ফলে শরীরের ক্যালোরি পোড়ানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। যেহেতু ফাইবার হজম করা কঠিন, তাই শরীরকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়, বাড়তি শক্তি ব্যবহার করে এবং বিপাক বৃদ্ধি করে। উচ্চ বিপাক মানে বাড়তি ক্যালোরি পোড়ানো, যা ধীরে ধীরে কোমরের চারপাশের মেদ ঝরাতে কাজ করে।
৫. পেটের চর্বি কমায়
গবেষণায় দেখা গেছে যে ওটস, বিনস এবং তিসির মতো খাবারে পাওয়া দ্রবণীয় ফাইবার ভিসারাল ফ্যাট – অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে ঘিরে থাকা একগুঁয়ে পেটের চর্বি – কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর। খাদ্যতালিকায় এই খাবার বেশি বেশি রাখুন।
আইএ