৩০ জানুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার ২:৩৮:০৩ পূর্বাহ্ন |
৩৫ বছর বয়সি যুবক মো. মিজানুর রহমান। পরিবারের পাঁচ ভাই আর এক বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। কয়েক বছর আগে জীবিকার তাগিদে গিয়েছিলেন চট্টগ্রামে। সেখানে ভবন নির্মাণের সাইড কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন মিজানুর রহমান। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
সোমবার সকালে মিজানুর রহমানের মরদেহ ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী বাজার এলাকার নিজ বাড়িতে আনা হয়। তিনি ওই এলাকার পোনার বাড়ির সুলতান আহমেদের ছেলে।
এর আগে রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান মিজানুর রহমান।
নিহত ওই যুবকের চাচা মো. হারুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে ভবন নির্মাণের সাইড কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করতেন মিজান। রোববার দুপুরে কাজের ফাঁকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা এলাকায় রেললাইনের পাশের একটি দোকানে চা পান করে বের হন মিজানুর রহমান। এ সময় অসাবধানতাবশত ট্রেনের নিচে পড়ে কাটা পড়েন তিনি। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, স্থানীয় রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতে মিজানুর রহমানের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর সোমবার সকালে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। দুপুরের দিকে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে মিজানুর রহমানের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মিজানুর রহমান সংসারে পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। স্ত্রীসহ তার তিন ছেলে রয়েছে। মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে তার পরিবারের সবাই শোকে মাতম হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা জানান, যুবক মিজানুর রহমান চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন বলে শুনেছি। তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছি। মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে তার পুরো পরিবার শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |