মুক্তিযোদ্ধার জমির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর ও মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গেলেন জেলে। জামিনে এসে আবারও দখল করলেন মুক্তিযোদ্ধার সেই জায়গা। আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কৈণপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কৈনপুরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ঠাকুর দাশ ও রাখাল দাশের মধ্যে ভিটেবাড়ি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরােধ চলে আসছে। এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে প্রত্যেকের জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়। গত ২৭ জুন ঠাকুর দাশ তার জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। পরদিন রাখাল দাশ বহিরাগত লোকজন নিয়ে সেই দেয়াল ভেঙ্গে দেয়। এ নিয়ে ঠাকুর দাশ আদালতে মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাখাল দাশকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। কিন্তু রাখাল দাশ জামিনে এসে ফের বিরোধীয় ঐ জায়গা দখল করে টিনের ঘর নির্মাণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা ঠাকুর দাশ বলেন, আমার জায়গায় আমি সীমানা প্রাচীর দিয়েছি। রাখাল দাশ বহিরাগত লোকজন নিয়ে সেটি ভেঙ্গে ফেলেছে। আমি মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। কিন্তু সে জামিনে বের হয়ে আমার ভিটে দখল করে কেমনে টিনের ঘর নির্মাণ করে।
অভিযুক্ত রাখাল দাশ বলেন, ঠাকুর দাশের বসতভিটায় আমার জায়গা রয়েছে। সেজন্য আমরা জায়গাটা দখল করেছি।
জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) সৈয়দ ওমর বলেন, বসতভিটা নিয়ে উভয় পক্ষে মামলা রয়েছে। রাখাল দাশকে আমরা গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠাই। আবারো জায়গা দখল করার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেএন