এম.এ রফিক : লাগামহীন নিত্য পন্যের বাজারে স্বত্বি ফিরছে না কিছুতেই। জামালপুরের প্রতিটি হাট বাজারে কাঁচা সবজির বাজার ও সেই সাথে মাছ-মাংসের দামও চড়া। ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। খোঁজ নিয়ে যায় অসাধু কিছু ব্যবসায়ীকের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সবজির দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, বেগুন ১০০-১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৮০-৩০০ টাকা, প্রতিটি শাকের আটি ২০-৩০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, পটল ৮০ টাকা। অপর দিকে মাছের দাম ৩০০-৭০০ টাকা প্রতি কেজি। সেই সাথে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগি ও লেয়ার মুরগির দাম। বেড়েছে ডিমের দাম, বর্তমানে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। প্রতি কেজি চাউল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, আটা ৪৫-৫০ টাকা। সাধারণ ক্রেতারা নিত্যপন্যের বাজারের কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকে দীর্ঘদিন যাবৎ মাছ-মাংস ক্রয় করা থেকে বিরত রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারে আশা এক রিক্সাচালক বলেন আমার সংসারে ৪জন সদস্য, প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ টাকা আয় কামাই হলেও বাজার করতে পারছি না। শুধুমাত্র ডাল কিনে পরিবার নিয়ে ভাত খেয়েছি দুই দিন মাছ কিনতে পারি নাই। বিনন্দেরপাড়া মোড়ে ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম বলেন প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপন্যের দাম, যার কারনে বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। স্বল্প আয়ের ক্রেতারা এখন আগের মতো আর বাজার করছেন না। যেখানে ১ কেজি পন্যের প্রয়োজন সেখানে ২৫০ গ্রাম-৫০০ গ্রাম পন্য ক্রয় করছেন। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করতে হবে। তারা একেক সময় একেক দামে পন্য বাজারে সরবরাহ করে। যার কারণে বাজার মূল্য বৃদ্ধি পায়। সাধারণ মানুষের দাবি বাজার মূল্য স্থিতিশীল করার জন্য মজুদদারদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। তাহলে হইতো কিছুটা স্বত্বি ফিরে আসবে নিত্যপন্যের বাজারে।