জামায়াত পার্লামেন্ট গঠন করলে দেশ থেকে চিরতরে দূর্নীতি দূর হবে

জামায়াত পার্লামেন্ট গঠন করলে দেশ থেকে চিরতরে দূর্নীতি দূর হবে

জামায়াত পার্লামেন্ট গঠন করলে দেশ থেকে চিরতরে দূর্নীতি দূর হবে

মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ সম্ভাবনার বাংলাদেশ, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে দেশ যদি সৎ, খোদাভীরু ও দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব পেত, তবে অর্থনীতির দিক দিয়ে আমাদের আর পিছিয়ে থাকতে হতো না। অতীতে আমরা দেখেছি, যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, বিদায় নেওয়ার পর তাদের দুর্নীতির তালিকা প্রকাশে আরেকটি নির্বাচন মাঠে নেমে পড়েছে।”

তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী জন্মলগ্ন থেকে বলে আসছে আমরা আল্লাহর আইন চাই, সৎ মানুষের শাসন চাই। কারণ আল্লাহর বিধানেই রয়েছে একজন ঈমানদার মুসলিমের শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপত্তা। আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলদের যে দাওয়াত নিয়ে পাঠিয়েছেন, তা হলো জমিনে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করা। কীসে কল্যাণ আর কীসে অকল্যাণ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন যিনি, তিনিই সবচেয়ে ভালো জানেন।”

ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদ জানিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশে যদি ইসলাম কায়েম করতে পারি, যদি জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বে আগামী পার্লামেন্ট গঠন সম্ভব হয়, তবে এই দেশ থেকে চিরতরে দুর্নীতি, মারামারি, হানাহানি দূর হবে ইনশাআল্লাহ। সেই মানবিক, সহাবস্থানমূলক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েই আপনাদের সামনে এসেছি। দোয়া করবেন। শেষে তিনি আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, সাবেক উপজেলা আমির এমাদুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফয়ছল আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ সুমন, সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাসিত, অফিস সেক্রেটারী ও যুব বিভাগের সভাপতি মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মো. আব্দুল মোহাইমিন, পৌর সেক্রেটারি মো. আব্দুস সামাদ, ছাত্রশিবিরের পশ্চিম শাখা সভাপতি কামরান হোসেন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ফকিরবাজার ব্যবসায়ী কমিটির উপদেষ্টা হাজী আব্দুল হাফিজ, ব্যবসায়ী আবুল হোসেন, আবুল হোসাইন আজাদ, ডা. সুনাম উদ্দিন, ফয়ছল আহমদ, এম পারভেজ মাসুক, ছইদ আলী।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতি মওলানা আবু সাঈদ, সেক্রেটারী আলিম উদ্দিন মতো, মাওলানা নোমান উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, মাসুক উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, মুসলেহ উদ্দিন, আব্দুল কুদ্দুস, সুহেল আহমদ, মাসুদ আহমদ, লিয়াকত আলী, মাওলানা শামসুদ্দিন, রুহুল আমিন রাজু, সেলিম উদ্দিন, হাজী রফিক উদ্দিন, ইমাম উদ্দিন, নাঈম হোসেন, কিবরিয়া হোসেন, মাজহারসহ প্রমুখ।

Explore More Districts