জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণের ফি অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এমএম কলেজ ছাত্রদল।
বুধবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসের চেতনায় চিরঞ্জীব ভাস্কর্যের পাদদেশে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা একে একে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হঠাৎ করেই ফরম পূরণের ফি বাড়িয়ে দিয়েছে, যা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জন্য একটি বড় ধাক্কা। শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে উঠে আসে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য এই অতিরিক্ত ফি বহন করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। শিক্ষা মানুষের অধিকার, সেটিকে ব্যয়বহুল করে তুললে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে না। আমরা এ ধরনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে আজ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছি।”
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক তারেক, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি,এমএম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ হাসান ইমাম, সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম। নেতৃবৃন্দরা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। দেশে যেখানে শিক্ষার সব উপকরণের দাম দিন দিন বাড়ছে, সেখানে আবার ফরম পূরণের ফি বৃদ্ধি শিক্ষার্থীদের জন্য এক ভয়াবহ চাপ তৈরি করবে। বক্তারা আরও জানান, ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে থাকবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই অন্যায় ও অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে ছাত্রদল আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
মানববন্ধনে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি বেনজির বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম টিপু, এমএম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম বিল্টু, টিটোন তরফদার, গোলাম সরোয়ার, শিবলি অমিত, আব্দুস সামাদ, মেহেদী হাসানসহ জেলা ও কলেজ ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে মানববন্ধনে অংশ নেন।
কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা পুনরায় এক কণ্ঠে ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানান এবং ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।