জলঢাকায় খোলা আঁকাশের নিচে পাঠদান ও অবকাঠামোর বেহালদশা

জলঢাকায় খোলা আঁকাশের নিচে পাঠদান ও অবকাঠামোর বেহালদশা

জলঢাকায় খোলা আঁকাশের নিচে পাঠদান ও অবকাঠামোর বেহালদশা

 

আজম বাদশা সাবু,জলঢাকা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের তহশিলদার পাড়া এলাকায় অবস্থিত গাবরোল তহশিলদার পাড়া দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ গুলোর বেহালদশা তাই খোলা আঁকাশের নিচে পাঠদান ও অবকাঠামো সহ সার্বিক বিষয়ে নাজেহাল অবস্থা দেখা যায়। সরেজমিনে ও জানাজায়, অতি বৃষ্টি হলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে করে শিক্ষক/শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হয়। শুধু তাইনয় মাঠে এসেম্বলির ক্লাস নিতে সমস্যাও দেখাদেয় এবং সার্বিক বিষয়ে ও অবকাঠামোর বেহাল অবস্থার কারনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকগন খোলা আঁকাশের নিচে পাঠ দান করান। বিদ্যালয়ের টিনসেটের ঘরের নাজেহাল অবস্থা । এই ঘরগুলোতে ক্ল্যাস নিতে হয় শিক্ষকদের।অনেক সময় বৃষ্টি বাদলকে উপেক্ষা করে ক্ল্যাস নিতে হয় শিক্ষকদের।এই সমস্যা সমাধানে একটি ভবনের জন্য শিক্ষকরা বিভিন্নভাবে বাড়তি সময় ক্ষেপন করে পাচ্ছে না একটি ভবন এমন কথা বলেন শিক্ষকরা। বিদয়ালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকেরা জানান ,যার কাছে যাই, তারাই ভবন দেওয়ার স্বপ্ন দেখায় কিন্তু স্বপ্ন,স্বপ্নই রয়ে যায়, কেউ ফিরে তাকায় না। এমনকী খোজ খবরও ন্যায় না। আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং আবেদন করেও হচ্ছে না বিদ্যালয়টিতে ভবন।তাই শিক্ষকরা ভবন না পাওয়া বেদনাগুলোকে চাপা দিয়ে শিক্ষার আলো ছড়াতে খোলা আঁকাশের নিচে বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে শিক্ষকরা পাঠদান দিয়ে যাচ্ছেন ছাত্র ছাত্রীদের। বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ হল শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করা।কিন্তু এই ডিজিটালের ছোয়া কী বিদ্যালয়টিতে পড়বেনা এমন প্রশ্ন শিক্ষক,ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের । এ ব্যাপারে অত্র প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম বলেন, বিদ্যলয়টি স্থাপিত হয় ১৯৯২ সালে। ৭ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ৭০/৮০ জন নিয়ে পাঠদান পরিচালিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে উন্নয়নের ছোয়া পরেনি এ প্রতিষ্ঠানে।বর্তমানে ১২ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা ও এক জন কর্মচারী এবং ৬ শত ৯৩ জন ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে। কিন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর বেহালদশার কারনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা সমস্যা হচ্ছে।২০০২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ভবনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত করেছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমরা অনেক সমস্যায় আছি। ভবন না থাকায় মাঠের মধ্যে ক্ল্যাস নিতে হয়।বিদ্যালয়ের জন্য কোন সরকারী বরাদ্ধ যদি আমরা পেতাম তাহলে অনেক উপকৃত হত।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Explore More Districts