জমি দেখতে ডেকে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দুই নার্সারি ব্যবসায়ীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে এক নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১৩) একটি দল। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় এক রাউন্ড গুলিসহ ১টি পিস্তল, তিনটি ধারাল অস্ত্র ও অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- বাচ্চু চন্দ্র (৫২), স্বপন রায় (২২) এবং খাদিজা বেগম (৩৭)। গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিত ইউনিয়নের ফুলবাড়ীর চওড়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই রংপুর জেলার বাসিন্দা।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) খন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনার খালিশপুর গোয়ালখালী এলাকার খন্দকার শাহাবুল ইসলাম বিশুদ্ধ অ্যাগ্রো নার্সারির মালিক। সম্প্রতি মুক্তিপণ দাবিকারী চক্রের সদস্য শাকিবুল ও সাহাবুদ্দিন চারা ক্রয়ের জন্য সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে ওই নার্সারি মালিককে তাদের বাগানের জমি দেখতে রংপুরে আসার আমন্ত্রণ জানায়। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) খন্দকার শাহাবুল ইসলাম (৫৭) ও ফারুক হোসেন (৩২) খুলনা থেকে বাস যোগে রংপুরের মর্ডান এলাকায় পৌঁছলে তাদের দুজনকে মোটরসাইকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার ফুলবাড়ির চওড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে ইউপি সদস্য রুহুল আমিনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে চোখ ও হাত বেঁধে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল উপজেলার আলমবিদিত ইউনিয়নের ফুলবাড়ীর চওড়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মুক্তিপণ দাবিকারী চক্রের মূলহোতা ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ আরো কয়েকজন পালিয়ে যায়। সেখান থেকে চক্রের সদস্য বাচ্চু চন্দ্র, স্বপন রায় ও খাদিজা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেশীয় পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, ৩টি দেশীয় অস্ত্র ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুই অপহৃত নার্সারি ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা সংঘবদ্ধ মুক্তিপণ চক্রের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একই সঙ্গে পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।