জন্মগত থ্যালাসেমিয়া নিরাময়ে প্রথম সাফল্যের দাবি | Narailkantho-Latest Bangla News & Entertainment…

জন্মগত থ্যালাসেমিয়া নিরাময়ে প্রথম সাফল্যের দাবি | Narailkantho-Latest Bangla News & Entertainment…

দেশে জন্মগত থ্যালাসেমিয়া রোগ নিরাময়ে প্রথম সফলতা এসেছে বলে দাবি করেছেন বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালের একদল চিকিৎসক। তারা জানান, গত ৫ মে শিহাব খন্দকার নামে ২১ মাস বয়সী এক শিশুর হ্যাপলো বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট করার মাধ্যমে তারা এ সফলতা পান।

বুধবার (১১ মে) এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ দাবি তুলে ধরেন।

সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, দেশের সর্বপ্রথম জেসিআই স্বীকৃত এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুটির চিকিৎসা শেষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

এ সময় হাসপাতালটির হেমাটোলজি ও স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের কো-অর্ডিনেটর, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, নীরব ঘাতক থ্যালাসেমিয়ার একমাত্র চিকিৎসা হলো বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট। কিন্তু ডোনারের অভাবে এটি করা খুবই দুষ্কর। থ্যালাসেমিয়া রোগীর পরিবার ছোট আকারের হওয়ায় ডোনার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে মাত্র ১০ শতাংশ। তবে, রোগটি চিকিৎসার বিকল্প পদ্ধতি হলো হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট (হাফ ম্যাচ ডোনার ট্রান্সপ্লান্ট)। এ পদ্ধতিতে পরিবারের যে কেউ (মা, বাবা, ভাই, বোন) ডোনার হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে ডোনার নিয়ে ভোগান্তির অবসান হতে চলেছে।

তিনি বলেন, সাধারণত শিশুর দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সে হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হয়। অনেক সময় দুই বছরের আগেও করা যায়। আমরা দেশে প্রথমবারের মতো গত ৫ মে ২১ মাস বয়সী এক শিশুর হ্যাপলো ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে করেছি। বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য এটি অনেক বড় সুখবর। এভারকেয়ার হাসপাতালের হাত ধরে থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হলো বলে আমি মনে করি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতালের এমডি ও সিইও ডা. রত্নদ্বিপ, মেডিকেল সার্ভিসেসের উপপরিচালক ডা. আরিফ মাহমুদ, চিফ মার্কেটিং অফিসার ভিনয় কাউল এবং রোগী শিহাবেরর স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।


Explore More Districts