এসব হিসাব-নিকাশ থেকে আমরা যা দেখছি তা হলো দেশের নাগরিকদের নানা রকম সমস্যা যখন তীব্র আকার ধারণ করছে, তখন প্রায় সব কটি অগ্রসর দেশ এসব সমস্যা মোকাবিলায় অর্থের ঘাটতির দোহাই দিয়ে গেলেও সমর বল বৃদ্ধির পেছনে খরচ বাড়িয়ে চলেছে। এ রকম অশুভ প্রতিযোগিতায় যে কেবল উন্নত দেশগুলো যোগ দিচ্ছে, তা অবশ্য নয়। উন্নয়নশীল বিশ্বের অধিকাংশ দেশও জিডিপির বড় এক অংশ খরচ করে চলেছে সেই একই খাতে, দেশের মানুষকে অভুক্ত রেখে হলেও।
বলা হয় যে পাকিস্তান জিডিপির এক-তৃতীয়াংশের বেশি বরাদ্দ প্রতিরক্ষা খাতে করে থাকে। উন্নয়নশীল বিশ্বের অন্য অনেক দেশও এর চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। ফলে মনে হতে পারে, যেন এক অন্ধকার পথ ধরে আমরা চলছি, আর আমাদের সেই চোখে না দেখতে পাওয়া অবস্থার সুযোগ নিয়ে নিজেদের মুনাফার অঙ্ক যারা সমানে ভারী করে চলেছে, তারা হচ্ছে মারণাস্ত্রের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যারা উদ্ভাবন করছে তারাও। কেননা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ অগ্রসর প্রযুক্তির বড় এক অংশ যে মারণাস্ত্র তৈরি ও উন্নয়নে ব্যবহার করা হচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলতে থাকা সীমিত সব যুদ্ধে অত্যাধুনিক নানা রকম ড্রোন ও অন্যান্য অস্ত্রের ব্যবহার তা দেখিয়ে দিচ্ছে নাকি?

